Apan Desh | আপন দেশ

গণধর্ষণ-হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৭:০৯, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

গণধর্ষণ-হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রাঙ্গণে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরে নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)।

তারা সবাই ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় ২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

নিহত ফিরোজা বেগমের ছেলে চিকিৎসক শাহ জালাল হাওলাদার বলেন, আমরা রায়ে খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে দাবি দ্রুত যেন এই রায় কার্যকর হয়।

শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ। বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক হত্যাকাণ্ডের রায়। এক নারীকে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

তবে এই রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নাসরিন আক্তার। বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল পাঁচটা। বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকার ফিরোজা বেগম (৫৫)। ২১ এপ্রিল। পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার হাত ভাঙা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দৃশ্যমান ছিল।

পরের দিন নিহতের ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে শরীয়তপুর আদালতে মামলা করেন। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২–৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বাকি আসামিরা অব্যাহতি পায়।

পরে ২৮ এপ্রিল নিজাম বালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হন। তারা ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম ও আল-আমীন পলাতক আছেন। ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। 

এ ঘটনায় পরবর্তীতে পুলিশ ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়