Apan Desh | আপন দেশ

রাজবাড়ীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৩৯, ২১ মার্চ ২০২৪

রাজবাড়ীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি: আপন দেশ

রাজবাড়ী সদরের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা সুলতানার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। অভিযোগের অনুলিপি ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর জমা দিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক শাহানা সুলতানা শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ ১২০ টাকা, প্রত্যয়নপত্র বাবদ ১০০ টাকা করে আদায় করেন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়নে চারুকারু পরীক্ষায় পাস করাতে শিক্ষার্থীপ্রতি ২০ টাকা করে নেন। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে প্রায়ই খারাপ আচরণ, আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

অভিযোগকারীরা জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শাহানা সুলতানা বিভিন্নভাবে তাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। রাজনৈতিক লোকজন দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করছেন। সহকারী শিক্ষকদের কাঁধে দায় চাপানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। অন্যদিকে, অজ্ঞাত কারণে তদন্তের বিষয়টি ধামাচাপা দিচ্ছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার।

প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম জেনেও ম্যানেজিং কমিটির সভা দেরিতে আহ্বান করেন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ। সভায় ওই শিক্ষকের পক্ষে কোনো রিপোর্ট না পেলেও সাদা রেজ্যুলেশন খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর নেয়া হয়। অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ জানান, কাউকে বাঁচাতে নয়, মূলত বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করে আসছেন তিনি। 

তার দাবি, একজন শিক্ষক যাবেন আর একজন আসবেন এটাই নিয়ম। তিনি কখনই অন্যায়ের পক্ষ নেননি এবং নিবেন না। 

প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষকে তিরস্কার করা হয়েছে। তবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শাহানা সুলতানা বলেন, চাঁদার বিষয়টি সত্য নয়। বিদ্যালয়ে কর্মরত আয়াদের বেতন পরিশোধের জন্যই অভিভাবকদের থেকে কল্যাণ ফাণ্ডে টাকা নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিভাবক সমাবেশে সবার সঙ্গে আলোচনাও করা হয়েছে। এমনকি রেজ্যুলেশন করা হয়েছে। 

ওই শিক্ষকের দাবি, তাকে হেনস্ত করতেই তার বিরুদ্ধে চাঁদা ও প্রত্যয়নপত্র বাবদ অর্থ আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাছরিন নাহার জানান, অভিযোগ তদন্ত শেষে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষটি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় টাকা ফেরতের নির্দেশও দেয়া হয়। এরপর প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের ডেকে টাকা ফেরত দেন এবং লিখিত রাখেন। স্বাক্ষী হিসেবে সহকারী শিক্ষকদের স্বাক্ষর নেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন জানিয়ে কল কেটে দেন। 

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়