হয় বিয়ে নয় আত্মহত্যা, হাতে সময় একদিন

একদিন পরেই আত্মহনন করবেন! যদি তার প্রেমিক অন্য মেয়েকে বিয়ে করে। দশ বছর অপেক্ষা করেছেন মেয়েটি। এদিকে প্রেমিকের পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে। দিনক্ষণ আগামীকাল শুক্রবার। তাই পূর্ব ঘোষণা দিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশনে বসে আছে প্রেমিকা। চারদিন চলছে। 

বিষয়টি প্রশাসন এবং স্থানীয়দের ভাবিয়ে তোলেছে। কি হবে একদিন পরে? বধুবরণ নাকি লাশ দাফন?  ঘটনা ঘটছে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরঘুনসী গ্রামে। 

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, মেয়েটি মাদারীপুরের শোলপুর গ্রামের।  রা‌জৈর উপজেলার কবিরাজপুর ডিগ্রি কলেজে পড়ছেন। বিয়ের দাবিতে গত চার দিন ধরে অবস্থান করছে প্রেমিকের বাড়ি। প্রেমিক আমিনুল হাওলাদার। মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখারা ইউনিয়নের চরঘুনসী গ্রামের মৃত তারেক হাওলাদারের ছেলে তিনি। 

মেয়েটি তখন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০১৩ সালে পরিচয় হয় কলেজ পড়ুয়া আমিনুল হাওলাদারের সাথে। এরপর প্রেম। ২০১৬ সালে মেয়ের পরিবার জোর করে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। কিন্তু  প্রেমিক আমিনুলের আশায় এক মাসের মাথায় ডিভোর্স  দিয়েছে মেয়েটি। 

তখনও মনে গড়া প্রেমের তাজমহল ভাঙ্গেনি। ওই বছরই আমিনুল ইতালি চলে যায়। তবে মেয়েটির ভরনপোষনের প্রয়োজনীয় খরচ বহনের দায়িত্ব নেন। টাকাও পাঠান ব্যাংকের মাধ্যমে। আগে দুরত্ব থাকলেও এ সময় দু’টি পরিবারের মাঝে বেশ সখ্যতা গড়ে ওঠে। গত ২ আগস্ট দেশে ফিরে আমিনুল। আর অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। এই খবরে প্রেমিক আমিনুলের বাড়িতে অনশনে বসে ওই কলেজ শিক্ষার্থী। 

এদিকে মেয়েটিকে ঘরে তোলতে নারাজ আমিনুলের পরিবার। আমিনুলের ভাবি লতা আক্তার জানান, প্রেম করলে তো অনেক প্রমাণ থাকে। কিন্তু এই মেয়ের প্রেমের কোনো প্রমাণ নেই। তাকে মেনে নেয়া হবে না, দেবর আমিনুলের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে।

অনশনরত প্রেমিকার বলেন, আমিনুল গাঁ ঢাকা দিয়েছে । শুক্রবার (১২ আগস্ট) আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে হওয়ার কথা। আমার সাথে ১০ বছর প্রেম করেছে, আমি ওর সাথেই সংসার করতে চাই। তা না হলে ওই বিয়ের দিনই আমি আত্মহত্যা করব। 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলছেন, মেয়েটি বলছে তার সাথে আমিনুলের টানা ১০ বছর প্রেম ।  
কিন্তু আমিনুলের পরিবার তা অস্বীকার করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর অভিযোগ পেলে দ্রুত সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আপন দেশ ডটকম/প্রতিনিধি/ বকুল