Apan Desh | আপন দেশ

সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগাদেশ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৫:০৪, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগাদেশ স্থগিত

ফাইল ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ জারির একদিন পরই তা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এ আদেশ জারি করেছিল।

কোম্পানির আবেদনে সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন একটি রুল জারি করে। ওই আদেশটি স্থগিত করেন। সোনালী লাইফের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে আইডিআরএ সোনালী লাইফের বরখাস্তকৃত সিইও মীর রাশেদ বিন আমানের পেশ করা একটি রিপার্টের ভিত্তিতে, অডিট ফার্ম হুদাভাসিকে দিয়ে সোনালীর কার্যক্রম ও লেনদেনের একটি অডিট করানো হয়। অডিট রিপোর্টটি সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর না করে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ না দিয়েই সোনালীর বর্তমান বোর্ড বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সঙ্গে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সাবেক সিইও যাকে দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনের দায়ে বরখাস্ত করা হয়, এমনকি যার বিরুদ্ধে কোম্পানির মূল ডাটা ম্যনিপুলেশনের মতো এবং জাল শিক্ষা সনদ প্রদান করে সিইও পদে চাকরি নেয়ার মতো কঠিন অভিযোগ রয়েছে; যা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হওয়ায় তিনি জেলও খেটেছেন।

তার মতো একজন অপরাধীর উদ্দেশ্যমূলক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইডিআরএ তাদের নিয়োজিত অডিট ফার্মকে দিয়ে নিরীক্ষা চালায় এবং তার প্রতিবেদনের উপর ভিওি করেই সোনালীতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।

সোনালী লাইফের জনসংযোগ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইডিআরএ এমনকি অডিট ফার্মের অডিটের প্রতিবেদন কোম্পানি কতৃর্পক্ষকে সরবরাহ করেনি। তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত বিষয় বা অভিযোগগুলো খন্ডানোর কোনো সুযোগ না দেয়া হয়নি। তড়িঘড়ি করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, অডিটের মূল অভিযোগের যায়গাটি হলো- কোম্পানি থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অর্থ গ্রহণ। অথচ যে অর্থ নেয়ার কথা বলা হয়েছে- তা তিনি নিজের মালিকানাধীন সোনালী লাইফের প্রধান কার্যালয় ইমপেরিয়াল টাওয়ারের ভাড়া বাবদ গ্রহণ করেছেন।

কিন্তু এ বিষয়টি কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। সোনালীর ‘দুর্নীতিবাজ’ তৎকালীন সিইও রাশেদ আমান তার দেয়া রিপোর্টে সুকৌশলে এ বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ফলে অডিট প্রতিষ্ঠানও বিষয়টিকে আমলে নেয়নি।

দেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বীমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ গত ৩ মাসে নানান অস্থিরতার মধ্যেও ব্যবসায়ে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এ সময়ে তারা ১১৪ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। এ অবস্থায় প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি গ্রাহকদের মধ্যে নেতিবাচক ধারনা তৈরি করতে পারে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ