Apan Desh | আপন দেশ

চার্লস ডিকেন্সের জাদুঘরে শ্যালিকার ১২০ চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১২ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৯:৪৭, ১৭ মার্চ ২০২৪

চার্লস ডিকেন্সের জাদুঘরে শ্যালিকার ১২০ চিঠি

ছবি : সংগৃহীত

ভিক্টোরিয়ান যুগের সেরা ঔপন্যাসিক বিবেচনা করা হয় চার্লস ডিকেন্সকে। যুক্তরাজ্যের সেন্ট্রাল লন্ডনের ক্যামডেন শহরে তার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি জাদুঘর। 

সম্প্রতি বিবিসি জানিয়েছে, এই জাদুঘরে একটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা থেকে ছয় হাজার ৪৮ পাউন্ডের বিনিময়ে অন্তত ১২০টি চিঠি নিয়ে আসা হয়েছে। এই চিঠিগুলোর কোনোটিই চার্লস ডিকেন্সের লেখা নয় কিংবা তার উদ্দেশেও লেখা হয়নি। তবু কেন ডিকেন্সের জাদুঘরে চিঠিগুলোর ঠাঁই হলো! 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিঠিগুলো লিখেছিলেন চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রীর ছোট বোন জর্জিনা হগার্থ। অন্য এক ব্যক্তির উদ্দেশে এগুলো লেখা হলেও জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, অপ্রকাশিত চিঠিগুলো চার্লসের জীবন ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। কারণ শ্যালিকা হলেও জর্জিনা ছিলেন লেখকের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ও তার একান্ত সহচর। 
ইতিহাসবিদেরা দাবি করেন, চার্লস ডিকেন্সের স্ত্রী ক্যাথরিনের সঙ্গে তার বাড়িতে পা রেখেছিলেন জর্জিনা। একসময় স্ত্রীর সঙ্গে ডিকেন্সের বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও শ্যালিকা জর্জিনা তার বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন। শুধু থেকে যাওয়া বললে ভুল হবে, বলা যায়— প্রকারান্তরে বাড়ির হর্তা-কর্তা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন <> প্রাণের বইমেলায় বিক্রি বেড়েছে

চার্লস ডিকেন্সের বাড়ি থাকা অবস্থায়ই ১৮৬৭ থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে ইংরেজ কবি চার্লস ক্যান্টকে ওই চিঠিগুলো লিখেছিলেন জর্জিনা। 

চিঠিগুলোর প্রসঙ্গে জাদুঘরের কিউরেটর অ্যামা হার্পার জানান, ডিকেন্সের জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ ছিলেন জর্জিনা। ইতিহাসে তিনি এখনো একটি চমৎকার ও রহস্যময় চরিত্র হিসেবে রয়ে গেছেন। 

হার্পার বলেন— বোন ক্যাথরিনের বিবাহের বিতর্কিত এবং তিক্ত ভাঙনের পরও চার্লসের কাছাকাছি থেকেছিলেন জর্জিনা। চার্লসের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক হয়ে তিনি বহু বছর ধরে বেঁচে ছিলেন এবং চার্লসের মৃত্যুতে তিনি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। 

হার্পার মনে করেন, অপ্রকাশিত চিঠিগুলো থেকে ডিকেন্সের জীবন এবং চরিত্র সম্পর্কে তথ্য পাওয়া ছাড়াও এগুলো জর্জিনার জীবনেরও একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তৈরি করার সুযোগ দেবে। তিনি সেই সব নারীদের মধ্যে অন্যতম যারা ডিকেন্সকে সমর্থন ও উৎসাহিত দিয়ে যাচ্ছিলেন।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়