ছবি: সংগৃহীত
শিশুদের সঙ্গে সুন্দর, সহজ-সরল ব্যবহার করতে হবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। অটিস্টিক শিশুদের অবহেলা না করে সেবাযত্ন, ভালোবাসা দিয়ে সক্ষম ও কর্মক্ষম করে তোলা সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ কথা বলেছেন বেইট আলফা অটিস্টিক ফাউন্ডেশনের বক্তারা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে বেইট আলফা অটিস্টিক ফাউন্ডেশন। এতে বক্তারা এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’।
চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শিশুরা স্বাধীনভাবে রঙের সঙ্গে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে সহোযোগিতা করে। তাই তাদের জন্য আমাদের আরও অনেক সচেতন থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথি নোঙর ট্রাস্ট চেয়ারম্যান সুমন শামস বলেন, অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের শারিরীক আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের প্রতি সুন্দর, সহজ-সরল ব্যবহার করতে হবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। অটিস্টিক শিশুকে অবহেলা না করে তাদেরকে সেবাযত্ন, ভালোবাসা দিয়ে সক্ষম ও কর্মক্ষম করে তোলা সমাজের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও আলোকচিত্রী শঙ্কর শাওজাল। তিনি বলেন, অটিস্টিক শিশুদের জন্য একটি আলাদা জায়গা প্রয়োজন। যেখানে তারা নিজেদের ভাবনা আদান-প্রদান করতে পারবে। পাশাপাশি অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে শিখেছি, কীভাবে শিশুদের দৈনন্দিন জীবন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। এজন্য অটিস্টিক শিশুদের ন্যূনতম মৌলিক কাজ শেখাতে হবে। আজকের এই শিশুদের চিত্রাঙ্কণ আয়োজন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিশুর পছন্দ, অপছন্দ, ভালো লাগার বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। এ বিষয়গুলোর একটা তালিকা করে পরিবারের সব সদস্য এবং স্কুলের শিক্ষক, প্রশিক্ষককে জানাতে হবে।
আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ চারুকলা অনুষদের অধ্যক্ষ শিল্পী সামছুল আলম, ডিজাইনার শাহরীন হক, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর কাজল আরেফিন অমি, অভিনেতা এবং ডাক বাক্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি জিয়াউল হক পলাশ।
দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার আলোচনা সভা ও অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চিত্রাঙ্কণ শেষে দুই শতাধিক অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের হাতে বিভিন্ন রঙের খেলনা পুতুল ও ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়।
চিত্রাঙ্কণ কর্মশালা পরিচালনা করেন চিত্রশিল্পী আশরাফুল কবির কনক। সমন্বয় করেছেন বেট আলফা অটিস্টিক ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক রকিব হাওলাদার, ফাউন্ডেশনের সদস্য নোমিরা আহমদ এবং ফাউন্ডেশনের নাজিফা মিলা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আরমিন সোমা এবং সহ-সভাপতি রোমেল মোর্শেদ।
আপন দেশ/এবি/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।