Apan Desh | আপন দেশ

ভাষার অন্তস্থ সাধক ড. মুকিদ চৌধুরী

মাহমুদ নোমান

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ৭ এপ্রিল ২০২৪

ভাষার অন্তস্থ সাধক ড. মুকিদ চৌধুরী

ফাইল ছবি

ভাষার অন্তস্থ টানে বেশ চেনাজানা আন্তরিকতা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলার আরামটুকু আরো কাছে টানে পাঠকের আধা চেতন ভাবিত ভাবকে; একটা ঘোর লাগা পথের দিকে নিয়ে যায় ড. মুকিদ চৌধুরী। ‘যোদ্ধা’র মতো নাট্যোপন্যাসে মুহূর্মুহু ধ্বনিত নাটকীয় রসবোধের মধ্যেও বুননকৌশলে উগ্রতা নেই। বুঝিয়ে দেওয়ার প্রাণচাঞ্চল্যে আমার মনে পড়লো কলেজের সেই পাঠ্যপুস্তকে পড়া মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকটির। তবে কিছু পার্থক্য আমার কাছে সুস্পষ্ট যে- ‘কবর’ যতটুকু নাটক, ড. মুকিদ চৌধুরীর ‘যোদ্ধা’ ততটুকু জীবনের নাটকে বাস্তবতার দোস্তি। ‘যোদ্ধা’কে পুরোপুরি নাটক না-বলে নাট্যোপন্যাস বলে ভাষার কৌশলে ছড়িয়ে দিয়েছেন অক্ষরের সৈনিকদের।

ড. মুকিদ চৌধুরীর ভাষার মধ্যে যাদু আছে। ভাষার জোড়নে মায়া-গভীর ভাব ও শাণিত বোধের খেয়ালে পাঠক আটকা পড়ে সহজেই; নিজেকে সঁপে দেওয়ার আকুলতা উদযাপন চমৎকার বুঝিয়ে দিতে পারঙ্গম। ‘যোদ্ধা’ নাট্যোপন্যাস পাঠ করতে করতে আমি যে পথে এগিয়ে গেছি প্রতিটি বাক্যে আলোড়িত হয়ে। কখনো নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়নি। বিচিত্র দৃশ্যের মুহূর্মুহূ আলাপন নিবিড়তা ঘনিষ্ঠ সহযাত্রী করে নিয়েছে। অতিকথন নেই,  সরাসরি সহজে পাঠকের অন্তরাত্মার রিলে একেকটা চরিত্রের সফল মঞ্চায়ন ছিল। স্মার্ট শব্দগুচ্ছের টান টান উত্তেজনা নাট্যোপন্যাসে যেভাবে ধরে রেখেছেন এককথায় অসামান্য। ড. মুকিদ চৌধুরী ‘যোদ্ধা’ নাট্যোপন্যাসের নামকরণে যথার্থে এক কথায় বলতে হয়- বাংলাসাহিত্যে বাংলা ভাষার সৌন্দর্যের চমৎকার এবং সিনা টান করা কথা সাহিত্যিকদের কাতারেই এগিয়ে থাকা একজন যোদ্ধা ড. মুকিদ চৌধুরী...

০২.
ইদানংকালে সাহিত্য সমাজে এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। যেই লেখা পড়ছি সেখানের মধ্যে স্থিরতা খুঁজে পাচ্ছি না বললেই চলে; প্রযুক্তি আমাদেরকে লেখালেখির খবরাখবর প্রকাশে সহজতর করে দিয়েছে, এক তুড়িতে সেজে যাচ্ছে লেখক। নিবীড় সাধনার সংযোগের ধার ধরছেই না। এবং সব কর্ম সাধনের পরেও তুমি লিখছ বলেই আমাকে লিখতে হবে, তুমি কবি বলে আমাকেও কবি হতে হবে, এ রকম প্রবণতায় নিজেদের লেখা খুঁজে পাচ্ছে না লেখক সমাজ। লেখালেখিতে ত্যাগের সিদ্ধান্তে পৌঁছান লাগে, এটি নিতান্ত শখ আর দেখানোর বিষয় নয়, এইসব হাতে গোণা লেখকও মানতে চায় না; এজন্যই এখন যা-কিছু লেখা হচ্ছে সেসবে অস্থিরতা, কেমন জানি একটি লেখায় শব্দের সঙ্গে পরের শব্দের মিল পর্যন্ত নেই। বিচ্ছিন্ন কিছু দিয়ে বই ছাপিয়ে দিচ্ছে শখের ঠেলায় হাতে টাকা থাকলেই। এইসব কথা বলার একটাই কারণ যে- ড. মুকিদ চৌধুরীর ‘যোদ্ধা’ নাট্যোপন্যাস পড়ে সত্যিই চমকে গেছে ভাব-গতিকের সঙ্গে বোধের খেয়ালের সন্ধিতে। এমন লেখা এইসময়ে পাওয়া দুষ্কর। এমন লেখা লিখতে ধৈর্য-সহ্য আর নিয়মিত সেই লেখার অন্তস্থ টানে ধ্যানস্থ হয়ে থাকা শুধু  মুখের কথা নয়; আমার একথা মনে জাগলো যে- এই অস্থির সাহিত্য সমাজে এমন উচ্চমার্গীয় চিন্তা চেতনা উৎকর্ষতার সাধনে সফল হওয়া লেখার কদর কেউ  বুঝবে কী! অন্তত খোঁজ নেওয়া বা খুঁজে পাওয়া কঠিন বটে...

‘যোদ্ধা’ নাট্যোপন্যাসে ইংরেজ আমলে ভারতবর্ষের ত্রিপুরা ভূখণ্ডের স্বাধীন নরপতি বীরচন্দ্র মাণিক্যের শাসনামলের হালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। অনেকের মতে মহাভারতের যযাতির বংশের ১৭৫তম উত্তরপুরুষ বীরচন্দ্র মাণিক্য চন্দ্রবংশীয় ত্রিপুরার মহারাজ ছিলেন। মহারাজের প্রিয় ভাষা বাংলা হওয়ায় ত্রিপুরার রাজভাষা বাংলা প্রচলন করেছেন। এ ছাড়া তিনি অত্যন্ত প্রজাভক্ত ও দানশীল ছিলেন বিধায় কেউ হাত পেতে খালি হাতে ফিরেছেন এমন নজির নেই। এক সময়  রাজকোষ খালি প্রায়! এহেন অবস্থায় ধার চাইলেন খোয়াই নরপতির কাছে আর খোয়াই নরপতি বন্ধকির অজুহাতে একরকম মুদ্রা দিতে রাজি হননি। এই থেকে এই ‘যোদ্ধা’ নাট্যোপন্যাসে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু; এখন যখন চোখের ইশারায় যুদ্ধ চলে, কেউ জানে না কে ধ্বংস করে দিচ্ছে একটা ভূখণ্ড চুপচাপ ছোট্ট বোতাম টিপে- ঠিক এই সময়ে সম্মুখ যুদ্ধের সেই মুহূর্মুহূ ভয়ানক পরিস্থিতির বর্ণনা পাঠককে অন্য জগতে নিয়ে যাবে সুনিশ্চিত।

০৩.
এই উপন্যাসের শুরুটা রোমাঞ্চকর। একদম স্মুথ টিউনিং। উপন্যাসটি কয়েকটি পরিচ্ছদে ভাগ করে ঔপন্যাসিক চমকপ্রদ উপস্থাপন করেছেন। পরিচ্ছদের নামও রেখেছেন মোহনীয় মমত্ববোধে; প্রথম পরিচ্ছদের নাম- ‘ফোটে কি কমল কভু সমল সলিলে’...

আগেই বলে রাখি এই উপন্যাসের প্রধান  চরিত্রগুলো কথা- মহারাজ হলেন বীরচন্দ্র মাণিক্য, সেনাপতি ভরত হলেন মহাবীর, সহসেনাপতি শশিভূষণ হলেন বীরশ্রেষ্ঠ, ভূমিসূতা হলেন মহাবীর ভরতের স্ত্রী, ভানুমতী মহারাজ ত্রিপুরার রাজমহিষী, ত্রিপুরার যুবরাজ হলেন রাধাকিশোর মাণিক্য, ত্রিপুরার যুবরানি হলেন মনমোহিনী...

উপন্যাসের শুরুতে ভূমিসূতার ত্রিপুরার রাজপ্রাসাদে দেখতে আসা ও রাত্রিযাপন দিয়ে এগিয়ে গেলেন ঔপন্যাসিক।  এখানেই আসল ভেদ তিনি রোপন করেছেন। কেননা ক্ষত্রিয়কুলের ভরত নিজের দক্ষতা, সততা ও মহারাজের জন্য জীবন বাজি রেখে আজ এতোদূর এসেছেন সামান্য সৈনিক থেকে। প্রধান সেনাপতি হয়েছেন, মহাবীর ভরত হয়েছেন। রাজপ্রাসাদে রাত্রিযাপনে এলে সর্ববিদ্যায় পারদর্শী ভূমিসূতার মনে আরো বেশি সুখ লাভে উচ্চাকাক্সক্ষা জাগ্রত হয়ে কুমন্ত্রণার উদ্রেক হয়েছে। সুনিপুণ কূটকৌশলে ছলনার বায়ে বাহিত করতে পেরেছে এই কুমন্ত্রণা ভরতের মননেও; এ জন্যই ভরত বুঝি উচ্চারণ করলেন-

‘প্রিয়তমা, ক্ষত্রিয়কুলে জন্মগ্রহণ করেছি বলেই কি সুখী হতে পারিনি? ক্ষত্রিয়কুলের সকলেই বুঝি যোদ্ধা হয়ে জন্মায়, মানুষ হয়ে নয়?’

আদতে ভরতের এই কথাটি উপন্যাসের মূল বক্তব্যকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। খোয়াই নরপতি মহারাজের রাজকোষ খালি হলে মুদ্রা দিতে অস্বীকৃতিতে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। এতে মহারাজের ইগোতে টোকা মারে। রাগ ক্রোধ দমিয়ে উল্টো রাজপ্রাসাদে দাওয়াত দিয়ে খোয়াই নরপতির সামনে শুধু গরম জল দেয়। অন্যরা সবাই রাজকীয় ভোজে মত্ত। এই দৃশ্য ঔপন্যাসিক ফুটিয়ে তুলেছেন স্বকীয়তার মোলায়েম স্বরে; খোয়াই নরপতি এই অপমানের জবাব দিতে গিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন মহারাজের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে অবশেষে খোয়াই নরপতির প্রাণ গেল ভরতের হাতে। যুদ্ধ শেষে ফেরার পথের বর্ণনা দিতে গিয়ে ঔপন্যাসিক লিখলেন- অতি পিচ্ছিল বনপথে যেকোনো মুহূর্তে হুড়মুড় খেয়ে পড়তে পারে এমন সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ওরা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদির মতো তিরবেগে ছুটছে। ওদের ছুটে চলা দৃশ্য দেখে মনে হয়, ওদের পেছনে কারা যেন পাগলা ঘন্টি বাজাচ্ছে, মনে হচ্ছে, এই বুঝি ঘণ্টার শব্দে সবাই জেগে উঠছে এবং ওদের পুনরায় ধরার জন্য দলবলে ছুটে আসছে - জোরে, আরো জোরে।

আরও পড়ুন <> সন্জীদা খাতুন: সংস্কৃতি ও কর্মসাধনার পরম্পরা

মূলত খোয়াই নরপতিকে পরাজিত করে নিজের হাতে মেরেই ভরতের মনে দাগিয়ে উঠা কুমন্ত্রণা কিংবা উচ্চাকাঙ্ক্ষা বলুন এমনকি চাওয়ার শেষ বলতে কিছু নেই, সেটি আরো বেশি বেগবান বায়ে বিস্তার লাভ করেছে মস্তিষ্কে; নিজের সত্তার অস্থিরতার প্রতিমূর্তিটি যেন যুদ্ধজয়ের ফেরার পথে উপস্থিত হয়েছে কায়ামূর্তির স্বরূপে আবির্ভূত হয়ে; এটি মনের ও মস্তিষ্কের বিচলনের এক রূপ রহস্য অনুমানের উপর ভরতের পরিবেশ পরিস্থিতির উদ্ভবে সৃষ্ট চরিত্র; এককথায় এটিকে মন মেজাজের কুসংস্কার কিংবা মনের শয়তানি বলে আখ্যা দিতে পারেন। অথচ এটিই সত্য যে কোনো সত্তা পরাধীন থাকতে চায় না অথবা নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকেই, পথের মধ্যে উদ্ভূত কায়ামূতির ঘটনাটি ঔপন্যাসিক বর্ণনা করছেন এভাবে- জলাভূমির নিস্তরঙ্গ জলে ঢেউ উঠছে মৃদুমন্দ আর কুণ্ডলি পাকিয়ে কুয়াশার মতো ঘনিয়ে উঠছে ঊর্ধ্বমুখো ধোঁয়া। ধোঁয়া ক্রমশ ঊর্ধ্বে প্রসারিত হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। এই ধোঁয়ার মধ্যেই যেন ভরত দেখতে পেল একটি কায়ামূর্তি।  সে শুনতে পেল কায়ামূর্তিটি যেন তাকে আহ্বান করে কিছু বলছে।

হঠাৎ কায়ামূর্তির ছন্দিত শ্লোক ভরতের দীর্ঘদিনের গোপনে লালিত আকাক্সক্ষাকে যেন সমর্থন জানাল। এতে আশ্চর্যই হল। কায়ামূর্তিটির সঙ্গে ভরতের কথোপকথন চলতে থাকে। কায়ামূর্তির দ্বিতীয় শ্লোকটি সবচেয়ে আলোড়িত। উপরোক্ত শ্লোকে একজন নারীর আহ্বান শুনে চমকিত হয়ে জিজ্ঞেস করল- কার স্ত্রী? কায়ামূর্তির জবাব- পরস্ত্রীতে কেন লোভ?

এতে বুঝা যায় ভরতের স্ত্রী ভূমিসূতার সেই আকুতিভরা ছল এতো দূর বাহিত করেছে ভরতের মধ্যে বিশ্বাস আবেগ আকাক্সক্ষায়। অস্থির বিচলনে নিজের সঙ্গে নিজের কথাবার্তা যেন। অন্ধকারে এমন মজজুবী কথাবার্তা বীরশ্রেষ্ঠ শশিভূষণের দৃষ্টি এড়ায় না। শশিভূষণ ভরতের এহেন আচরণ পরিলক্ষিত করে ভরতের কাছে জানতে চায় শশিভূষণ নিয়ে কায়ামূর্তির ভবিষ্যৎ বাণী কি?

ভরত ছায়ামূর্তিকে শশিভূষণের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলে- শশিভূষণের বংশধর হবে রাজ্যেশ্বর। এতে ভরতের মনে উগ্র ভাব আসে। কিন্তু শশিভূষণ এসবে কর্ণপাত করেন না। এমনকি ভরত শুনছে কায়ামূর্তির কথা, কিন্তু শশিভূষণ এসবের কিছু শুনতে পান না। এই যে ভরতের মনের কুমন্ত্রণা শশিভূষণ বুঝতে পারেন। কিন্তু ভরত উগ্র ভাবাবেগে নিজের ধ্বংস ডেকে আনে। শেষ পর্যায়ে বিয়োগের ঘনঘটা। যেই রাজ্যের মহারাজের মহাবীর ছিল ভরত, সেই মহারাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাঁধে; যুদ্ধে শশিভূষণের হাতে ভরতের প্রাণ যায়, শশিভূষণ কিন্তু সহসেনাপতি শুধু নয় ভরতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ ছিল আর মনোমোহিনীর হাতে প্রাণ যায় ভরতের স্ত্রী ভূমিসূতার...!

যুদ্ধে যুদ্ধে একজন সাধারণ সৈনিক থেকে মহাবীর, ক্ষত্রিয়কুলে জন্ম বলে কী আজন্ম যোদ্ধা থেকে মরতে হয়েছে ভরতকে? আমি বলব- জীবন যুদ্ধে প্রত্যেকেই তো একেজন যোদ্ধা, যুদ্ধের ময়দান কেবল ভিন্ন...

সর্বোপরি এই ‘যোদ্ধা’ নাট্যোপন্যাসে প্রেমের বর্ণনা-সব হৃদয় ফোঁড়ে বেদনা বিষাদ আর উচ্ছলন উচ্ছ্বাস প্রকাশ পাঠকের মধ্যে অনুরণিত হবে। ত্রিপুরার যুবরাজ রাধাকিশোরের যুদ্ধ যাওয়ার সময় যুবরানি মনোমোহিনীর আকুতিভরা প্রেমালাপন এই উপন্যাসের জোড়নকে করেছে জৌলুসময়; রাজা আর রাজার ঘরেও সবাই যে যোদ্ধা এবং আবেগের বশবর্তী হয়ে নিজেদের রক্ষা করে চলার ফুরসত নেই। এমনকি রাজমহিষী ভানুমতী একদিন আবদার করেছিল মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্যের পাশে বসবেন, রাজকার্য পরিচালনার সময় অথচ এরকম কোনো রীতিনীতি নেই বলে রাজমহিষীকে বসতে পর্যন্ত অনুমতি দেননি! কী বিচিত্র সব মনের উচাটনের কথাবার্তা এই উপন্যাসের পরতে পরতে। যুবরানি মায়ের কাছে জানতে চেয়েছে কীভাবে মানিয়ে নিয়েছে এই মহারাজের সাথে জড়ানো জীবন। কত ত্যাগ যে রয়েছে মহারাজের পরিবারবর্গের অন্দরে, প্রজারা এসব ভাববেও না। এইসব অর্থবহ উত্তর-প্রত্যুত্তর এই উপন্যাসকে করেছে নন্দিত; আমার আজন্ম মনে থাকবে ড. মুকিদ চৌধুরীর ভাষার অতলান্তে মোহন সৌন্দর্য সাধনা... উৎকৃষ্ট কবিতার উপমার মতো কিছু বাক্য ‘যোদ্ধা’ নাট্যোপন্যাসের জয়ধ্বনি তুলবে সুনিশ্চিত...।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়