Apan Desh | আপন দেশ

আয়ানের মৃত্যু: শাস্তি-ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৯ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২০:২৯, ৯ জানুয়ারি ২০২৪

আয়ানের মৃত্যু: শাস্তি-ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে তদন্তের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

খতনা করাতে গিয়ে ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থেকে মারা যায় শিশু আয়ান। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই পুরো শরীরে ফুল অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করে চিকিৎসকরা। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর এ ঘটনা ঘটে।

আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ তদন্ত ও এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পরিবারের পক্ষে আইনজীবী এ রিট আবেদন করেন। 

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি এবং একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ আদায় করা আবশ্যক। চিকিৎসকের অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে কারও মৃত্যু, বা অন্য কোনো ধরনের ক্ষতি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল ৮ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত আদেশ নামা জারি করেছে কমিশন।

এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আয়ানকে। অনুমতি ছাড়াই অ্যানেস্থেসিয়ার পর জ্ঞান ফেরেনি তার। স্বজনরা জানান, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন।

টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার (৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সন্তান হারানোর শোকে পাগলপ্রায় আয়ানের পরিবার। আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসক আমাদের ডেকে বলেন যে দুনিয়াতে আয়ান আর নেই। তারা খুব তড়িঘড়ি করে আমাদের বের করে দেন।’

আয়ানের পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে। এমনকি প্রথমে ১০ হাজার টাকার প্যাকেজে অপারেশনের কথা থাকলেও বিল ধরানো হয় প্রায় ছয় লাখ টাকা।

আয়ানের চাচা জামিল খান বলেন, আয়ান যদি দুনিয়াতে থাকতো, তবে পুরো প্রায় ৬ লাখ টাকাই নিতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখনো তারা আমাদের কাছে এই বিলটাই চাচ্ছে। তারা বলছেন, এখন আপনারা চলে যান, বিলটা পরিশোধের জন্য পরে এসে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আয়ানের দাদা আব্দুস সালাম কবির বলেন, ‘খতনার কাজ করেছেন ডাক্তার মেহেরজেবিন। অ্যানেস্থেসিয়া বেশি দেয়া হয়েছে বলে তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে এক ঘণ্টা ক্লাস নেয়াতে আমার নাতি এভাবে মারা গেল।’

আরও পড়ুন>> একনজরে বিপিএলে ৭ দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

আয়ানের মামা রাসেল বলেন, ‘ডাক্তার কী ওষুধ ব্যবহার করেছেন, সেসব কিছু লিখা আছে। ফাইলটা এখানে নিয়ে এসেছি। কিন্তু আজকে যখন ওই ফাইলটা চাইলাম, তখন সেটা দেখছি গায়েব করে ফেলেছে।’

অভিযোগ এড়িয়ে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় চাপাচ্ছে সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের ওপর। গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালের নন-মেডিকেল ডিউটি ম্যানেজার সানাউল্লাহ কবির বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যবস্থপানাসহ পুরো প্রক্রিয়াতেই দুই প্রতিষ্ঠান আলাদা।

এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেছে আয়ানের পরিবার।

আপন দেশ/ এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়