Apan Desh | আপন দেশ

চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী: র‌্যাব

ছবি: সংগৃহীত

পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজীর কারণে নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিভাবে বেড়েছে। বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে এসব চাঁদাবাজী হয়।
ঢাকায় অন্তত পাঁচ-ছয়টি স্থানে পণ্যবাহী ট্রাক চাঁদা তোলা হয়; ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এ সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত ৬৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারের মুখপাত্র খন্দকার আল-মঈন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে ৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখ, পাইকারি বাজার এলাকায় চাঁদা তুলছিল। আজ ভোরে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব।

র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, রাজধানীর কাজলা, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, ইত্তেফাক মোড়, টিটিপাড়া, বাবুবাজার, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়, কারওয়ান বাজার ও গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি লেজার রশ্মির লাইট, সিটি কর্পোরেশনসহ ছয়টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জ্যাকেট, দুটি অন্যান্য লাইট, চারটি আইডি কার্ড, ৪১ মোবাইল ফোন এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> ডিমের দাম বেড়েছে, চড়া সবজির বাজার

এই র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতাররা তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে এ কাজ করতো। কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতি রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। পণ্যবাহী যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামায়। ড্রাইভারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকেন।

খন্দকার আল-মঈন বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও দিয়ে থাকেন। চালকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর, চালক-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন থেকে ২০০-৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকেন। কখনো শ্রমিক সংগঠন, কখনো কল্যাণ সমিতি, কখনো সিটি কর্পোরেশন, কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নামে এই চাঁদা আদায় করা হয়।

তিনি আরও বলেন, একটি গ্রুপ চাঁদা উত্তোলন করে কথিত ইজারাদারদের কাছে জমা দেয়। তারা সিন্ডিকেটের মধ্যে টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে নেয়। চাঁদা উত্তোলনকারীরা প্রতি রাতে মজুরি হিসেবে ৬০০-৭০০ টাকা পান। প্রতিটি স্পট থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়