Apan Desh | আপন দেশ

ইতালিতে নামাজে নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ইতালিতে নামাজে নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ইতালির বন্দরনগরী মনফালকোন। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সেখানে শান্তিপূর্ণভাবেই বাস করছেন মুসলমানরা। তবে হঠাৎ পবিত্র কোরআনের দুটি আংশিক পুড়ে যাওয়া পৃষ্ঠাসংবলিত খাম দেখে চমকে উঠেন মুসল্লিরা। শহরের ইসলামবিরোধী কট্টর ডানপন্থি মেয়র আনা মারিয়া সিসিন্ট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নামাজ নিষিদ্ধ করেছেন। বিষয়টি এ সময়ে ঘটেছে। এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

দারুস সালাম মুসলিম সাংস্কৃতিক সমিতির ঠিকানায় এই খামটি পাঠানো হয়েছে। সমিতির সভাপতি বোউ কোনাতে বলেন, ‘এটি বেদনাদায়ক। চূড়ান্ত অপমান, যা আমরা কখনই আশা করিনি। তবে এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। চিঠিটি আমাদের জন্য একটি হুমকিস্বরূপ।’

সম্প্রতি মনফালকোন শহরের জনসংখ্যা ৩০ হাজারের ঘর পার হয়েছে। তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ মুসলমান। তবে এই শহরে এর উল্টোটা ঘটেছে। শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাননি ইসলামবিরোধী মেয়র আনা মারিয়া। তিনি ২০১৬ সাল থেকে শহরের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২০ বছর ধরে আউটসোর্সিং শ্রমনীতি চলমান। ফলে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের প্রচুর আগমন ঘটেছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশিদের পারিবারিক পুনর্মিলন নীতির মাধ্যমে আত্মীয়দের নিতে উৎসাহিত করা হয়। এতে করে জনসংখ্যা আরও বাড়ে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে শহরটির অভিবাসীর সংখ্যা ৯ হাজার ৪০০। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সংখ্যা ৬ হাজার ৬০০ জন।

আরও পড়ুন>> তিউনিসিয়ায় নিহত ৯ জন বাংলাদেশি

গত নভেম্বরে শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নামাজ নিষিদ্ধ করেন মেয়র আনা মারিয়া। এর আগে, গত গ্রীষ্মে সমুদ্র সৈকতে মুসলিম নারীদের বোরকা পরাও নিষিদ্ধ করেন। শহরের বাংলাদেশি অভিবাসী ও অন্যরা বলছেন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নামাজ ও সৈকতে বোরকা নিষিদ্ধ করা ইসলামবিরোধী এজেন্ডার অংশ।

৪০ বছর ধরে ইতালিতে বসবাস করছেন প্রকৌশলী কোনাতে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত সমাজে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। আমরা এখানে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ পড়ে আসছিলাম। তবে এটি কেবল নামাজের জায়গা ছিল না। মানুষজন এখানে দেখা করতে, আড্ডা দিতে আসত। শিশুরা স্কুল শেষে এখানে আসত। ইউরোপজুড়ে অনেক ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলোতে নামাজ পড়লে কেউ বাধা দেয় না।

তবে শহরের মেয়র আনা মারিয়া বলেন, আমি নামাজ পড়তে নিষেধ করিনি। এ জায়গাটাকে তারা ভিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছিলেন। নামাজের জন্য মসজিদ আছে। তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ