Apan Desh | আপন দেশ

শিক্ষকের অবহেলায় পরীক্ষা দেয়া হলো না!

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:২৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২১:০৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শিক্ষকের অবহেলায় পরীক্ষা দেয়া হলো না!

ছবি : আপন দেশ

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আমজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারণে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

প্রথম পরীক্ষার দিন বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রবেশপত্র না থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে রিয়ামনি নামের ওই শিক্ষার্থী। 

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ওই শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। 

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার আমজানী গ্রামের প্রবাসী মো. রহিম বাদশার মেয়ে রিয়ামনি আমজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার রোল নম্বর ৪। নিয়মানুযায়ী নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছয় হাজার ৫০০ টাকা এবং দশম শ্রেণিতে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য চার হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমানের কাছে জমা দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান রিয়ামনির রেজিস্ট্রেশন ও এসএসসির ফরম পূরণ কোনটিই করেননি। অথচ রিয়ামনি সহপাঠীদের সঙ্গে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এবং বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার বিদায় অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়। এসএসসি পরীক্ষার আগের দিন বুধবারও (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান তাকে ৫০০ টাকা নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে প্রবেশপত্র নিতে বলেন। ওইদিনই অভিভাবকসহ প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েও সে প্রবেশপত্র পায়নি।

আরও পড়ুন <> গাজীপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

শিক্ষার্থী রিয়ামনি জানায়, নিয়মানুযায়ী নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন ও দশম শ্রেণিতে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছে। যথারীতি টেস্ট পরীক্ষা ও বিদায় অনুষ্ঠানে যোগদান করেছে।

সে জানায়, প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রবেশপত্র চাইলে পরে দেবেন বলে জানায়। পরে আর প্রধান শিক্ষককে দেখা দেয়নি এবং বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। সে পরীক্ষার দিন জানতে পারে তার প্রবেশপত্র আসেনি। 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেরী আক্তার জানান, তার মাধ্যমেই রিয়ামনি রেজিস্ট্রেশন ফি এবং ফরম পূরণের টাকা প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিয়েছে। পরীক্ষার দিন থেকে রিয়ামনির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোনো কথা বলছেন না। 

অভিযোগের বিষয়ে আমজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে বার বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, রিয়ামনির রেজিস্ট্রেশন নবম শ্রেণিতে থাকাকালে কোনো অজ্ঞাত কারণে করা হয়নি। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে তার প্রথম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। সে হিসেবে রিয়ামনি আগামী সেশনের পরীক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে- সে জন্য প্রধান শিক্ষক সব কাগজপত্র বাড়িতে নিয়ে রাখেন। এ বিষয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে পারছেন না।নির্বাচনী পরীক্ষায় রিয়ামনির অংশ নেয়া ও সহপাঠীদের সঙ্গে বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। প্রধান শিক্ষক সব কিছু জানেন বলে দাবি করেন তিনি। 

আপন দেশ/প্রতিনিধি/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়