Apan Desh | আপন দেশ

কমিউনিটি ক্লিনিকে গরুর খামার!

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:২১, ২১ মার্চ ২০২৪

কমিউনিটি ক্লিনিকে গরুর খামার!

ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার দাসেরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে গরুর খামার গড়া হয়েছে। আর তা করেছেন বুলবুল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা এমন অভিযোগই করেছেন। ফলে গোমূত্র ও গোবরের গন্ধে ক্লিনিকের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সুস্থ হতে আসা রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে সরেজমিনে দাসের গাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা যায়, মুছাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দাসেরগাঁও এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য ওই এলাকার মৃত জজ মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জমি দান করা হয়। সেখানে সরকারি অর্থায়নে ভবনটির নির্মাণ করে ক্লিনিকটি স্থানীয় জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। কিন্তু জজ মিয়ার ছেলে বুলবুল আহমেদ দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ক্লিনিকের জায়গার ভেতরের দেয়াল ঘেষে গরুর খামার দেয়ার কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। ক্লিনিকের পক্ষ থেকে বার বার আপত্তি সত্বেও কর্ণপাত করছেন না বুলবুল। 

আরও পড়ুন <> পাবনায় ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ৩

ক্লিনিকের সিএইচসিপি ইসরাত জেরিন হুমা জানান, জমিদাতা জজ মিয়ার ছোট ছেলে বুলবুল আহমেদ দুই মাসের জন্য গরু রাখবে বলে দীর্ঘ ১০ মাস গরু রাখছেন। সেবা নিতে আসা রোগীরা ময়লার দুর্গন্ধের কারণে ক্লিনিকে এসে অস্বস্থিবোধ করেন। তা ছাড়া দুর্গন্ধের কারণে সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এখানে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমরা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। গত ১৩ মার্চ বিকালে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। 

অপরদিকে বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য গত ১৩ মার্চ মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ড. মু. বেলায়েত হোসেন। 

অভিযুক্ত বুলবুল আহমেদ বলেন, ক্লিনিকের জায়গা আমরা দিয়েছি। এখানে গরু রাখলে সমস্যা কী? বিষয়টি নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কী আছে? পরিবেশ দুষণ হচ্ছে জানালে তিনি কিছুই করার নেই বলে উত্তর দেন। 

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. বেলায়েত হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ক্লিনিকের জায়গায় গরুর খামার দিয়ে রেখেছেন বুলবুল। আমি বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। আমি দাসেরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়েছি, উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি আমি উল্লেখ করব। 

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়