Apan Desh | আপন দেশ

বুয়েটে ভর্তি অনিশ্চিত মিরাজের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ২৭ মার্চ ২০২৪

বুয়েটে ভর্তি অনিশ্চিত মিরাজের

ছবি: সংগৃহীত

দরিদ্র পরিবারের সন্তান অদম্য মেধাবী মিরাজ বাবু। সব প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) ১০৪১তম হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু অভাবের সংসার হওয়ায় ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তার পরিবার। আগামী ২৮ মার্চ তার বুয়েটের ভর্তির শেষ সময়।

লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের আতোয়ার রহমান ও মা মরিয়ম বেগমের ছেলে মিরাজ বাবু।

তার বাবা আতোয়ার রহমান একজন বর্গা চাষি। জায়গা জমি বলতে কিছুই নেই বাড়িভিটা ছাড়া। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন। মিরাজ বাবুর বড় বোন আয়েশা সিদ্দিকা ও তার নিজের টিউশনির টাকায় এতদিন পড়াশোনার খরচ চালিয়ে আসছে। দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে এতদূর এগিয়ে আসার পরও অর্থ-সঙ্কটে বুয়েটে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে মিরাজের।

মিরাজ বাবু বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি জিপিএ ৪.৭২, হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিনের ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

আরও পড়ুন>> ‘প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার, ১০ লাখ নেন’

মিরাজের বাবা আতোয়ার রহমান বলেন, আমি একজন বর্গা চাষি। অন্যের জমির চাষাবাদ করে কোন মতন সংসার চালাই। এখন ছেলে বুয়েটে চান্স পেয়েছে, তার পড়াশোনা করার সাধ্য আমার নেই। কেউ যদি সাহায্য করে তাহলে ছেলেকে পড়াশোনা করাতে পারবো।

মিরাজ বাবু বলেন, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর থেকে আমি টিউশনি করাই। সেই টিউশনির টাকা দিয়ে কষ্ট করে পড়াশোনা করছি। এতে স্কুলের শিক্ষক ও কলেজের স্যাররা আমাকে খুবই সহযোগিতা করেছে। বিনা টাকায় প্রাইভেটও পড়িয়েছেন। এর আগে, গুচ্ছ পরীক্ষায় চুয়েট ও রুয়েট পরীক্ষাও আমি টিকেছি। এখন বুয়েটে চান্স পেয়েছি আমার ইচ্ছে আমি প্রকৌশলী হব। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে পড়াশোনা চালানো সম্ভব নয়। তাই পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছে সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল বারি বলেন, ছোট থেকে অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে মিরাজ। এখন প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে ভর্তির চান্স পেয়েছে। তার পরিবারের পক্ষে লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব। মিরাজের সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে এলে হয়তো তার স্বপ্ন পূরণ হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে অফিসে আমার সঙ্গে দেখা করলে বিষয়টি নিয়ে ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়