Apan Desh | আপন দেশ

কুমিল্লায় জমে উঠেছে শীতের পোশাক বাজার

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৭, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১২:৫৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

কুমিল্লায় জমে উঠেছে শীতের পোশাক বাজার

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় পুরোনো  ও নতুন সংমিশ্রণে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বাজার। দোকানে গরম পোশাকের যেন কমতি নেই। শীতকে কেন্দ্র করে রং-বেরঙের পোশাক এসেছে বাজারে। শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার এখন সরগরম। 

এখন শীতের শুরুর দিক তাই শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম। সে কারণে অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে শীতবস্ত্রের বাজারে ভিড়ও করছে। কুমিল্লার শপিং মলগুলোতে বা রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে সারি সারি পোশাকের দোকানগুলো শীতের পোশাকে ভরপুর। 
কুমিল্লার রেইসকোর্স থেকে শুরু করে কান্দিরপাড়, টমছম ব্রিজ রোডের সব জায়গায় শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতাদের। রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ও দামের কম্বল। শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় শপিং মলগুলোতে দেখা যায় এসব পোশাক কিনতে সব শ্রেণির ক্রেতার ভিড়। 

কুমিল্লার রেইসকোর্স এলাকার ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজায় রয়েছে বিভিন্ন দামের শীতের পোশাক। সেখানকার ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বাসসকে বলেন, শীতের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পোশাক হুডিতে রয়েছে বিশেষ ছাড়। এ ছাড়া অন্যান্য শীতপোশাকে রয়েছে বিভিন্ন মাত্রায় মূল্যছাড়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাদের শোরুমে শীতকালীন পোশাক আসা শুরু হয়েছে বলে জানান ‍তিনি। মঞ্জু আরো বলেন, গত কয়েকদিনে হাড় কাপানো শীত পড়ায়, ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয়। বঙ্গবাজার ও গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার থেকে এ পোশাকের সংগ্রহ আসে বলে জানান তিনি। নানা ধরনের শীতবস্ত্রের পাশাপাশি শীতের আনুষঙ্গিক হিসেবে চাহিদা রয়েছে হাতমোজা, পা মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের টুপির। 

মার্কেটঘুরে শীতের পোশাক কেনার পর টুপি-মোজার দোকানে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তাসপ্রিয়া। তিনি বলেন, ভাই-বোন আর নিজের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। 

কুমিল্লা খন্দকার ম্যানশনে শীতের নানা ধরনের পোশাক রয়েছে। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে আট-নয় হাজার টাকা দামের পোশাকও পাওয়া যায় এখানে। এ দোকানের কর্মচারী মনির হোসেন  বলেন, শীত ছাড়া অন্য মৌসুমে যারা দেশের বাইরে যায়, তারা এখান থেকে গরম কাপড় কিনে। শীতকালে মোটামুটি সবাই ভিড় করে এখানে। 

এত সব দোকান ঘুরে দেখার পর চোখ যায় কুমিল্লা হকার্স মাকের্টে নিজের স্বল্প পুঁজি নিয়ে কামরুল ইসলাম নামের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের মাফলারের দোকানে। প্রতিটি রুমাল কিংবা ছোট মাফলার ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। নিম্নবিত্ত কিংবা দারিদ্র্যসীমারও নিচে বসবাস করছে এমন ক্রেতাদের জন্যই যে এ পসরা সাজানো হয়েছে, তাই স্বল্প দামে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করছে।

আপন দেশ ডটকম/জিকে/ সূত্র : বাসস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়