Apan Desh | আপন দেশ

কুয়াকাটায় নেই ঝড়ের প্রভাব, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খালি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ১৪ মে ২০২৩

কুয়াকাটায় নেই ঝড়ের প্রভাব, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খালি

ফাইল ছবি

পটুয়াখালীর জেলার উপকূলীয় অঞ্চল কুয়াকাটায় নেই তেমন কোন ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব। এতে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না এলাকাবাসি। রাতে ১ হাজার ২০ জন মানুষ কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটালেও রোববার (১৪ মে) সকালে সেখানে কেউ আর থাকেনি। আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিলেও সেখানেও কেউ যায়নি।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া উপজেলার ১৭৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৯টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হলেও সকাল পর্যন্ত তার প্রভাব পড়েনি। শনিবার মধ্যরাত থেকে কুয়াকাটার উপকূলে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। উপকূলের আকাশ থমথমে মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও ঝড়ো বাতাস নেই। সমুদ্র এখন শান্ত।

কুয়াকাটা আদর্শ গ্রামের বকুল নেছা (৫৫) বলেন, আমরা বন্যার বাতাস দেখলেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাইতাম। এখনও ওই রকম কিছু দেখিনি। শুনছি ঘূর্ণিঝড় আইব। চোখে না দেখলে যামু কই? বৃষ্টি নাই, বাতাস নাই। পৌরসভা থেকে মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাইতে বলছে। কীসের জন্য যামু বুঝি না।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে । এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব নেই। তাই মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না। গতরাতে উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ২০ জন মানুষ রাত কাটিয়েছে। তবে দিনে একজনও আশ্রয়কেন্দ্রে নেই।


আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়