Apan Desh | আপন দেশ

ববিতে মধ্যরাতে হেলমেট পরে দুই হল দখল

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ৬ আগস্ট ২০২৩

ববিতে মধ্যরাতে হেলমেট পরে দুই হল দখল

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আবাসিক হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি পক্ষ মাস্ক ও হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল ও বঙ্গবন্ধু হলে হামলা চালায়। এতে হলের নিয়ন্ত্রণে থাকা পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও একাধিক পক্ষ সেখানে সক্রিয় আছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই তারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে শনিবার দিনগত গভীর রাতের ঘটনা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। এ ঘটনার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী, বিশেষ করে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, গত রাতে যে পক্ষটি হামলা চালাতে হলে ঢুকেছিল, তারা বরিশাল সিটির কর্পোরেশনের (বিসিসি) বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ সময় তারাই ক্যাম্পাসের হলগুলোর নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে সর্বশেষ নির্বাচনে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় তারা অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ সময় হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সমর্থক হিসেবে পরিচিত পক্ষটি। এমন পরিস্থিতিতে গত রাতে মাস্ক-হেলমেট পরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবার হল পুনরুদ্ধারে আসেন সাদিকপন্থীরা।

দুই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে ৪০ থেকে ৪৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী মাস্ক ও হেলমেট পরে প্রথমে শের-ই-বাংলা হলে ঢুকে প্রধান ফটক আটকে দেয়। পাশাপাশি বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলোর সিটকিনি লাগিয়ে দেয়। এরপর হলের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় গিয়ে কয়েকটি কক্ষে তল্লাশি করে।

এরপর ওই হল থেকে বেরিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধু হলের চতুর্থ তলায় যায় তারা। সেখানে জাহিদ ফারুকপন্থী পক্ষের কয়েক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে। এরপর তারা দুটি হলেরই নিয়ন্ত্রণ নেয়।

আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের অভিযোগ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামান ওরফে নাভিদ, ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের আল সামাদ ওরফে শান্তর নেতৃত্বে সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে।

বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস নাগ গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি এখন শান্ত। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো পক্ষ মামলা বা অভিযোগ করেনি। কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।

আর ববির প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম বলেন, রাতে হামলার বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ছিলেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে।

আপন দেশ /এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়