Apan Desh | আপন দেশ

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে রুল শুনানির উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ২ আগস্ট ২০২৩

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে রুল শুনানির উদ্যোগ

-ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন রিটকারী আইনজীবীরা।

বুধবার (২ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাড. সানজিদা খানম ও রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।

পরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাড. নাসরিন সিদ্দিকী লিনা।

তিনি জানান, এ বিষয়ে উপস্থাপন করা আবেদনটি বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চের কজলিস্টে (কার্যতালিকায়) এলে শুনানি হতে পারে।

এর আগে তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার বন্ধ চেয়ে ২০১৫ সালে আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন।

সেই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুলসহ তার বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন।

একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ওই সময় বলা হয়, সম্প্রতি (তৎকালীন সময়ে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি) দেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে তা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনার পক্ষে রিটটি করেন আইনজীবী সানজিদা খানম।

আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, অ্যাডভোকেট (মরহুম) সাহারা খাতুন, বর্তমান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বর্তমান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।

ওই সময় সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট (বর্তমানে মন্ত্রী) শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার বা প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে তারেক রহমানের কোনো ধরনের বক্তব্য প্রচার করা যাবে না।

সবশেষ ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি তারেক রহমানের একটি বক্তব্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচার হয়। যাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলেছিলেন। এসব বিষয় তুলে ধরে ওই সময় রিট করা হয় হাইকোর্টে।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়