Apan Desh | আপন দেশ

বিএনপির কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে: ডিবি

ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে গত ২৮ অক্টোবর কর্মীরা রাজধানীতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেয় নেতাকর্মীরা। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।

রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গ্রেফতাররা হলেন- বিএনপিকর্মী ইসমাঈল পাটোয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্যসচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং যুবদলকর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। আর বাসে আগুন দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিনকে (২৯)।

ডিবি প্রধান বলেন, শাহজাহানপুরের কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর করে। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটোয়ারী দুটি সবুজ রঙয়ের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করেছেন। এছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে।

গ্রেফতার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমনকি এ ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েছি।

পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেয়ার ঘটনায় আল-আমিন নামে এক বিএনপিকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়ি বংশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের ট্রাফিক সিগন্যালে থামলে যাত্রীবেশে কয়েকজন উঠে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেমে যায়। এ ঘটনায় জড়িত আল-আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাশকতা ও আগুনের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতারের পর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। পাশাপাশি তারা বলেছে, এ নাশকতা তাদের পূর্বপরিকল্পিত।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়