নোয়াখালীতে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিল ছাত্রলীগ

নোয়াখালীর সদরের হাকিমপুর গ্রামের দুই কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কৃষক জসিম উদ্দিন ও মাসুদ মিয়ার ৫৫ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান শ্রমিকের অভাবে কাটা হচ্ছিল না। সে ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগ। ধানগুলো মাড়াই করে কৃষকদের ঘরে তুলেও দিয়েছেন। রাজনীতিবিদদের এমন কাজে শ্রমিক সংকটে থাকা ওই কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে ধানগুলো কেটে দেন।

কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, শ্রমিকদের মজুরি এবার বাড়তি। একদিকে অর্থনৈতিক সমস্যা, অন্যদিকে চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। আবার দেশের অন্য জায়গা থেকে শ্রমিক এখনো আসা শুরু করেনি। ঝড় বৃষ্টির সংকায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা এ খবর শুনে আমার ২৫ শতাংশ জমিতে থাকা ধানগুলো কেটে, মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাদের এমন কাজে আমি ভীষণ খুশি।

কৃষক মাসুদ মিয়া বলেন, ধারদেনা করে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ করেছি। সার, বীজ ও কীটনাশকের বাড়তি দামের কারণে খরচ অনেক বেশি হয়েছে। পাকা ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। গরমের কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে রাজি না। করলেও বাড়তি দাম দিতে হয়। কোন প্রতিদান ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধানগুলো কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে। আশা করি তারা আমার মতো অন্য কৃষকদের পাশেও দাঁড়াবে।

ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী এ উদ্যোগ নিয়েছি। শ্রমিক সংকটের কারণে যেসব কৃষক পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না তাদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি। এতে কৃষকের যেমন উপকার হচ্ছে তেমনি আমরাও কৃষকের পাশে দাঁড়াতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.শামছুল হুদা বাপ্পি বলেন, কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়া মহৎ কাজ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের যেকোনো দুর্যোগ, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।

আপন দেশ/এবি