Apan Desh | আপন দেশ

ঋণ পাবার পর রিজার্ভ এখন ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৯:২০, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ঋণ পাবার পর রিজার্ভ এখন ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। যদিও আইএমএফ এর নির্ধারিত বিপিএম সিক্স পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ২০.৪ বিলিয়ন ডলারে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আইএমএফ ও এডিবির ঋণের কিস্তি হাতে পাওয়ার পর বেড়ে গ্রস হিসাবে এ চিত্র দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।

গত ৭ ডিসেম্বর বিপিএম সিক্স পদ্ধতির গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার ছিল।

এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর আইএমএফ এর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং এডিবির দেয়া ঋণের ৪০ কোটি ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হয়। বৈশ্বিক কারণে সঙ্কটে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি গত দেড় বছর ধরেই নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সহায়তা দিয়ে চলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন <<>> নয় মাসে দেশে ৩ হাজার ৬৪০ কোটিপতি বেড়েছে

এ কারণেই ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়। ২০২১ সালের অগাস্টে যেখানে রিজার্ভে ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, গত নভেম্বরে তা ১৯ বিলিয়নে নেমে যায়।

আইএমএফ এর সঙ্গে ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে আর্থিক ও রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। রয়েছে বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ৯ শতাংশ সুদহার তুলে দেয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম সিক্স পদ্ধতিতে করা, মুদ্রানীতি আধুনিকায়ন করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ; যেগুলোর অনেকখানি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।

তবে শর্ত অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিজার্ভের পরিমাণ বিপিএম সিক্স পদ্ধতিতে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা যায়নি।

যে পরিমাণ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোনো সময় চাহিদা মত ব্যবহার করতে পারবে, আইএমএফ এর হিসাবে সেটা হল প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ। গ্রস রিজার্ভ থেকে সব ধরনের দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভ হিসাব করতে হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় বর্তমানে ৫০ মিলিয়ন ডলার, আইএমএফ এর ঋণ রয়েছে গত জুন পর্যন্ত তিন দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ব্যাংকগুলোর বিদেশি মুদ্রা ক্লিয়ারিং (এফসি) হিসাবে লেনদেন নিস্পত্তির অপেক্ষায় আছে এক বিলিয়ন ডলার। এসব দায় বাদ দিয়ে হিসাব করতে বলেছে আইএমএফ।

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়