Apan Desh | আপন দেশ

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ২৭ মার্চ ২০২৪

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা কমেছে

ছবি: সংগৃহীত

দেশে দুই বছরের ব্যবধানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা কমেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম বাড়া, এ সংক্রান্ত প্রচার-প্রচারণায় ঘাটতিতে এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, দেশে ২০২১ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যা ২০২২ সালে কমে হয় ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর ২০২৩ সালে এ হার আরও কমে ৬২ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

শহরের চেয়ে গ্রামে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহাকারী বেশি কমেছে (১ দশমিক ৩ শতাংশ)। ২০২২ সালে গ্রামে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২২ সালে শহরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে শহরাঞ্চলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কমার হার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মেয়ের কিশোরী বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানেই না। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী নিয়ে এখন মাঠকর্মীরা আর বাড়ি বাড়ি যান না। এ বিষয়ে তেমন প্রচারণাও নেই। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারী বাড়াতে প্রচার-প্রচারণায় জোর দেয়া জরুরি বলে মনে করেন তারা।

জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সরকারের দৃষ্টি কমে গেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাজেটেও বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. মনজুর হোসেন বলেন, একদিকে দেশে ধনি শ্রেণির পরিবারে সন্তান নেয়ার প্রবণতা কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হারের ওপর।

আপন দেশ/এসএমএ

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়