‘নির্বাচন ভালো কি মন্দ তা দেখা ইসির কাজ নয়’

জাতীয় নির্বাচন ভালো কি মন্দ হয়েছে, সেটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেখার বিষয় নয়, এটি জনগণ বলবে। নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই ইসির মূল কাজ। সামনে ছোট ছোট নির্বাচন রয়েছে। সকল নির্বাচনই কমিশনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বলেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। 

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইসি ভবনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে না। এটি ভালো দিক। পাকিস্তানের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে কোনোরকম প্রতীক ছাড়া। দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন কেমন হবে, সেটি দেখা যাক। এটি একটি পরীক্ষা।

তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক চায় ইসি, এটি সবসময় বলে আসছি। জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে আরও ভোটার উপস্থিতি হতো। বিএনপিকেও আহ্বান জানিয়েছি। অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচনে কিছু ব্যতয় হতে পারে। যদিও বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন দেখা দেবে না।

আরও পড়ুন>> ‘নির্বাচন নিয়ে ত্রিমুখী চাপে ছিল ইসি’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ক্ষমতা নয় দায়িত্বটাই মূল। এই ধারণাকে স্ট্যাবলিশ করা গেলে রাষ্ট্রে ভারসাম্যহীনতা কমবে। যেসব জায়গায় দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন হচ্ছে না, সেখানে গণমাধ্যম এগিয়ে যায়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম যথেষ্ট আস্থাশীল। মেইন স্ট্রিম মিডিয়া সরকার বা কারও বিরুদ্ধে কথা বললে সেটা শোনার মানসিকতা থাকতে হবে। ক্ষমতার শক্তির ধারণা একেক জায়গায় একেক রকম। গণমাধ্যম না থাকলে সকল অন্যায় অত্যাচার সম্পর্কে আমরা জানতাম না।

সিইসি বলেন, গণমাধ্যমকে অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিতে হবে। বিকৃত বা অতিরঞ্জিত তথ্য দেওয়া যাবে না। শাসক শ্রেণি বা সরকার কমিশনকে কতটা সহায়তা করছে, সেটিও নজরদারি করে গণমাধ্যম। 

তিনি আরও বলেন, আর চাপই দায়িত্ববোধকে সুচারু করতে পারে। স্বাধীনতা সব সময় থাকবে না। তারপরও স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করার সদিচ্ছা থাকতে হবে। চেষ্টা করলে অনেকটা করা যায়। এটি গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গণতন্ত্রের উৎকর্ষ সাধনের জন্য গণমাধ্যমকে আরও গতিশীল, জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। 

আপন দেশ/এসএমএ