Apan Desh | আপন দেশ

দেশে এখন একজনের কথাই আইন: জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ১২ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ১৮:০৮, ১২ আগস্ট ২০২৩

দেশে এখন একজনের কথাই আইন: জি এম কাদের

বক্তব্য রাখছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের

ঢাকা:  জাতীয় পার্টির (জাপা)  চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা  গোলাম মোহাম্মদ কাদের ৯জি এম কাদের) বলেছেন, দেশে এখন একজনের কথাই আইন। তিনি যা বলবেন সেটাই আইনসিদ্ধ। কেউ না বললে যেন শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে ফেললো। তাই একজনের সিদ্ধান্তই এখন রায়। এমন বাস্তবতায় আমরা পড়ে গেছি।

এ থেকে বাঁচতে হলে গভর্নেন্স চেঞ্জ করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। রাজনীতি পরিবর্তন করতে না পারলে কোনো কিছুই পরিবর্তন হবে না।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ইদানিং বিদেশিদের খুব দুর্নাম করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিদেশিরা খারাপ উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র ও ভোটের কথা বলছে। এসব কথার কোনো অর্থ নেই। বিদেশিরা জনগণের পক্ষেই কথা বলছে, তারা ভালো কিছু চাচ্ছে। বিভিন্ন রোগের টিকা বিদেশিরাই আমাদের দিয়েছে। আবার, তারা টাকা পয়সা দিয়ে টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নও করছে। করোনাকালে আমেরিকা ১০ কোটি ডোজ টিকা ফ্রি দিয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে, আমরা শুধু লুটপাট করব, আর বিদেশিরা আমাদের দেশের লোকদের দেখবে।

শনিবার দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে একটি শক্তিশালী চক্র আছে। তারা বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নে বাঁধা হয়ে আছে। মাদক নিয়য়ন্ত্রণে নেই, বরং আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। প্রতিটি গ্রামে মাদক আছে, প্রতিটি পরিবারে মাদকসেবী আছে। অভিযোগ আছে, মাদক ব্যবসায় বিশাল অংকের মুনাফা আছে, যা ক্ষমতাসীন দলের নেতা, পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে ভাগ হচ্ছে। তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। যারা অর্থের লোভে মাদক বিস্তারে সহায়তা করছে, একদিন তাদের পরিবারই মাদকের ছোবলে ধংস হয়ে যাবে। লোভ লালসার রাজনীতির জন্যও দেশে মাদকের বিস্তার কমছে না।

জপা চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেটের নামে এখন গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। ক্রস ফায়ারের নামে দেশে বিনা বিচারে অনেককে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু মাদকের বিস্তার মোটেই কমেনি। তামাকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে তামাক পণ্যের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের বিকল্প পেশা নিশ্চিত করতে হবে।

>>> আরও পড়ুন:  দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না: দুদু

তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের মতো আর কোনো দেশে এত অবহেলা হয় না। এখানেও অভিযোগ আছে, সরকারি দল, পুলিশ-প্রশাসন একটি বড় অংকের চাঁদা পায়। অনেক পরিবহন মালিক বলেছেন, ৫শ টাকার টিকেট বিক্রি করতে হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। শুধু চাঁদা দিতেই এই বিশাল অংকের টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে। এরাই আইন বাস্তবায়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। একটি কথা আছে, যে সমস্যার সমাধান নেই তাকে সমস্যাই মনে করা হয় না। এখন প্রতিদিন সড়কে দুর্ঘটনা হবে, মানুষ মারা যাবে- এটাই যেন স্বাভাবিক। এখন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনাকে নিত্যদিনের ঘটনা মনে করছে। মানুষ মনে করে এটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই।

এ সময় জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সাংবাদিক বিউটি রাণী, ঢাকা আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংযের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা, সদস্য শাহরিয়ার হোসেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন রোড সেফটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী শারমিন রহমান, অ্যাডভোকেসি অফিসার তাসনিম মেহবুব বাঁধন, তরিকুল ইসলাম ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার আল তানভীর নেওয়াজ, প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ