Apan Desh | আপন দেশ

মেসির শেষটা ভালো হল না পিএসজিতে

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৪ জুন ২০২৩

আপডেট: ১১:৪৭, ৪ জুন ২০২৩

মেসির শেষটা ভালো হল না পিএসজিতে

ছবি: সংগৃহীত

লিগ ওয়ানে শনিবার (৩ জুন) ক্লেহমোঁর বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে পিএসজিতে দুই বছরের পথচলা শেষ হলো কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির। শেষটা খুব ভালো হলো না তার। সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। ২-০তে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হেরে যায় দল।

ম্যাচ শুরুর আগে লাউড স্পিকারে একাদশ ঘোষণার সময় ষ্টেডিয়ামের মেসির নাম উচ্চারিত হতেই ভেসে এলো দুয়ো। খেলার সময় মেসি একটি সুযোগ হাতছাড়া করতেই আবার দুয়ো। ম্যাচ চলার সময় বার কয়েক একই ঘটনা ঘটল। মহাতারকাকে এভাবেই বিদায় জানালেন পিএসজির সমর্থকদের একটি অংশ।

প্যারিসের ক্লাবটিতে দুই বছরের পথচলায় দুটি লিগ শিরোপা ও একটি ফরাসি কাপ জিতেছেন মেসি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গোল করেছেন ৩২টি, গোলে সহায়তা ছিল ৩৫টি।

তবে এই ক্লাবের জার্সিতে ঠিক অপ্রতিরোধ্য চেহারায় তাকে দেখা যায়নি। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। ইউরোপ সেরার আসরে দুই মৌসুমেই শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় পিএসজি। এরপর থেকেই মূলত তাকে দুয়ো দেয়া শুরু করে সমর্থকরা।

মেসি অবশ্য শেষ ম্যাচে মাঠে নামেন হাসিমুখেই। তার সঙ্গে ছিল তিন সন্তান। দলীয় ছবি তোলার আগে সন্তানদের হাতে ধরে রেখেছিলেন তিনি। পরে চুমু এঁকে দেন তাদের কপালে। শেষ ম্যাচের আগে বিদায়ী বিবৃতিতে মেসি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি।

একটি সাক্ষাৎকারেও ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান ৩৬ ছুঁইছুঁই তারকা। বলেন, ‘এই দুটি বছরের জন্য এই ক্লাব, প্যারিস শহর ও এই শহরের মানুষদের ধন্যবাদ জানাই। সবাইকে জানাই ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা। পিএসজির প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি খুশি। এই দলে খেলে এবং দারুণ সব ফুটবলারকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে দারুণ উপভোগ করেছি। প্যারিসে চমৎকার অভিজ্ঞতার জন্য ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

এদিকে প্রথমার্ধে পিএসজিকে এগিয়ে দেন রামোস। ক্লাবের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচে গোল করলেন তিনি। এর তিন মিনিট পরেই আশরাফ হাকিমিকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। পেন্টালি থেকে মৌসুমের ২৯তম গোল করেন এমবাপে।

আর ২১তম মিনিটের মাথায় প্যারিসের রক্ষণের ভুলে এক গোল শোধ করে ক্লেহমোঁ। ভেরাত্তির দুর্বল ব্যাক পাস গোলরক্ষক ডোনারুমার কাছে যাওয়ার আগেই গোল করে দেন জোহান গাস্টিয়েন।

প্রথমার্ধে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ছিল পিএসজির রক্ষণের দুর্বলতা। ৩৬তম মিনিটের মাথায় একিটিকে হ্যান্ডবল করায় পেনাল্টি পায় ক্লেহমোঁ। কিয়েই সেই বল বাইরে মারেন। ৪১তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিক একটুর জন্য বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগেই ক্লেহমোঁর হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন মেহেদি জিফান।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ক্লেহমোঁ ভালো করলেও ৫৩তম মিনিটের মাথায় ম্যাচের সহজতম সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। প্রতি আক্রমণ থেকে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফাঁকায় থাকা মেসিকে বল বাড়ান এমবাপে। মেসির বাঁ পায়ের শট বার উঁচিয়ে চলে যায়। যে জায়গা থেকে তিনি চোখ বন্ধ করে গোল করতে পারেন, সেখান থেকেই গোল নষ্ট করলেন লিও।

ক্লেহমোঁ হাই প্রেসিং ফুটবল খেলছিল। প্রতিটা বলের জন্য তাড়া করছিলেন ফুটবলাররা। তার ফল পায় ক্লাব। ৬৩তম মিনিয়ে কিয়েই দলের তৃতীয় গোল করেন। এগিয়ে যায় ক্লেহমোঁ।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি কিক থেকে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তার বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন ক্লেহমোঁর গোলরক্ষক। অনেক চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসি, এমবাপেরা। ফলে শেষ ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের।

কয়েক দিন আগেই পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফ গালটিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটিই ক্লাবের জার্সিতে মেসির শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচ খেলে ফেললেন লিও। প্যারিসে শেষটা ভাল হলো না মেসির। বিদায়বেলায় জয়ের স্বাদ পেলেন না মেসি।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়