Apan Desh | আপন দেশ

সিলেটে ২০২৩ সালে ১৫৯ খুন

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১২, ১২ জানুয়ারি ২০২৪

সিলেটে ২০২৩ সালে ১৫৯ খুন

প্রতীকী ছবি

২০২৩ সালে সিলেট বিভাগে ১৫৯ জন ব্যক্তি খুন হয়েছেন। ২০২২ সালে খুন হয়েছেন ১০৪ জন ব্যক্তি। যা ২০২৩ সালে এসে ৫৫ জন বেশি। তবে এ বছর চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুন হয়েছেন সুনামগঞ্জে। আগের বার এ জেলায় ২৬ জুন খুন হলেও গেল বছর খুন হয়েছেন ৫৬ জন। আগের বছরের তুলনায় এ জেলায় গেলবার ৩০ খুন বেশি। আর সিলেট জেলায় গতবছর খুন হয়েছেন ৬০ জন। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৫১। একইভাবে হবিগঞ্জে আগের বছর ১৮ জন হলেও গতবছর খুন হন ২৪ জন। মৌলভীবাজার জেলায় গেল বছর ১৯ জন খুন হন। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৯ জন।

জানুয়ারি: ২০২৩ সালের প্রথম দিনেই কোম্পানীগঞ্জের উৎমা সীমান্তে খাসিয়ার গুলিতে জৈন উদ্দিন (১৮) খুন হন। আর পর দিন কানাইঘাটের চতুলবাজারে জয়নাল আবেদীন (৬০), হবিগঞ্জে ১০ জানুয়ারি তিশা আক্তার (৯), তাহিরপুরে ১৪ জানুয়ারি বিএসএফর গুলিতে দেলোয়ার হোসেন, সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় ১৮ জানুয়ারি প্রতিবন্ধী ফারজানা আক্তার (২২), তাহিরপুরে ১৯ জানুয়ারি নুরুল আমিন (৬০), ওসমানী হাসপাতালে ২৫ জানুয়ারি বাবলু মিয়া (৩২) ও বানিয়াচংয়ে ২৬ জানুয়ারি বিলাল আহমদ (৯) খুন হয়।

ফেব্রুয়ারি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা এক চোর খুন হয় আর মৌলভীবাজারে ১০ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয় এক অজ্ঞাত নারীর গলিত মরদেহ। ওই দিন ধর্মপাশায় কবির মিয়া (৬০) এবং সিলেট নগরীর শেখঘাটে ১২ ফেব্রুয়ারি খুন হন টিকটকার তরুণী সোনিয়া আক্তার (২৩)। দক্ষিণ সুরমা থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাই প্রবাসী সাজ্জাদ আলী (৩৫) ও একই দিন নগরীর করের পাড়ায় খুন হন আব্দুর রহমান।

মার্চ: ছাতকে ১ মার্চ সাইফুল ইসলাম ও একই দিন নগরীর বন্দরবাজারে আমিরুল ইসলাম (৩০), কানাইঘাটে ৬ মার্চ আব্দুল আলী (৬৫) ও গোলাপগঞ্জে ৮ মার্চ শামসুল ইসলাম খুন হন। ওসমানীনগরের তাজপুর বাজারে ৯ মার্চ স্কুল ছাত্রী দিপা রাণী সিংহ (১৪) ও বড়লেখায় দিন মজুর জাবের আহমদ (২২) খুন হন। দোয়ারাবাজারে ১০ মার্চ আব্দুল খালিক (৩৫), তাহিরপুরে ১৪ মার্চ আব্দুল হাই (৭০), হবিগঞ্জ জেলা সদরে ১৮ মার্চ খুন হন গৃহবধূ ফরিদা বেগম (৪৪)। 

সিলেট নগরীর শাহপরান এলাকায় ১৯ মার্চ আশিক মিয়া (৩৪), বালাগঞ্জে ২২ মার্চ স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া বেগম (১৫), চুনারুঘাটের ২৩ মার্চ গৃহবধূ জেসমিন আক্তার (৩৫) ও তার পুত্র ইয়াসিন মিয়া (৯), কোম্পানীগঞ্জে ২৫ মার্চ গৃহবধূ হাফছা বেগম (১৯) ও একই দিনে বানিয়াচংয়ে বিষ্ণু সরকার (২২), শায়েস্তাগঞ্জে ২৬ মার্চ আয়াত আলী (২০) ও তাহিরপুরে খোরশেদ আলম (৩৮), ছাতকে ২৮ মার্চ লায়েক মিয়া একই দিন সুনামগঞ্জে শুক্কুর আলী (৪৫), জকিগঞ্জে ৩০ মার্চ সোহেল আহমদ (১৬) ও একই দিনে মৌলভীবাজারে রাজু মিয়াকে (৩০) হত্যা করা হয়।

এপ্রিল: জৈন্তাপুরে ১ এপ্রিল সমছু উদ্দিন (৪২), সুনামগঞ্জে ৬ এপ্রিল ফারুক মিয়া (৩২) ওই দিনে জৈন্তাপুরে  মোহাম্মদ আলী (৩৫) ও রাজনগরে বৃদ্ধা আখলিবুন বেগম (৬০) খুন হন। বানিয়াচংয়ে ৮ এপ্রিল জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫), ১০ এপ্রিল গোলাপগঞ্জে আরিফা বেগম (৭), দিরাইয়ে আমির হামজা (৫) ও আজমিরীগঞ্জে ফয়েজ মিয়া (২০), বিয়ানীবাজারে ১২ এপ্রিল গৃহবধূ স্বপ্নারা বেগম, কোম্পানীগঞ্জে ১৩ এপ্রিল নুর উদ্দিন (২৬) ও বানিয়াচংয়ে সুব্রত দাস (৩০) ও ছাতকে মকবুল আলী খুন হন। 

আর ওসমানীনগরে ১৭ এপ্রিল অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করা হয়। জাফলংয়ে ১৭ এপ্রিল আলে ইমরান (৩৩), ছাতকে ২২ এপ্রিল আব্দুল আলীম (৩০), দোয়ারাবাজারে ২৩ এপ্রিল আবুল কাশেম (৩০) ও মাধবপুরে ইরফান আলী, ২৪ এপ্রিল মাধবপুরে মিনারা বেগম (৪৭), তাহিরপুরে সাকিব রহমান (২৫) ও দোয়ারাবাজারে তাজ্জুদ আলী (৪০), লাখাইয়ে ২৬ এপ্রিল জহিরুল ইসলাম, জগন্নাথপুরে ২৯ এপ্রিল সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫), কমলগঞ্জে ৩০ এপ্রিল রবি ঘাষীকে (৫৫) হত্যা করা হয়।

মে: ওসমানীনগরে ৪ মে আনহার আলী (৪২), ছাতকে ৫ মে আব্দুস সালাম খান (৩৫) ও ওসমানীনগরে ব্রজেন্দ্র শব্দ কর, কুলাউড়ায় ৯ মে সুনীল গোয়ালা, গোয়াইনঘাটে ২২ মে জিন্দার আলী (৪০),পরদিন ২৩ মে বানিয়াচংয়ে মঈনুল ইসলাম (২২), ৩০ মে জামালগঞ্জে নুর মিয়া (৪০), ছাতকে জাহির মিয়া (৩৫),  গোলাপগঞ্জে সিরাজ উদ্দিন (৭৫) খুন হন। এর ঠিক তিন দিন আগে জামালগঞ্জে প্রকাশ্যে আরেক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।

জুন: সিলেট নগরের ধোপাদিঘীরপাড়ে পহেলা জুন গোবিন্দ দাস খুন হন আর পরদিন দক্ষিণ সুরমায় উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির গলিত লাশ। বিয়ানীবাজারে ৩ জুন জয়নুল ইসলাম (৩৮), একই দিন জৈন্তাপুরে সাধু পাত্র (৬০) ও জগন্নাথপুওে মোক্তার মিয়া (১৫) খুন হন।

ওসমানী হাসপাতালে ৯ জুন নয়ন মিয়া (২০), জগন্নাথপুরে ১১ জুন জুয়েল মিয়া (২৫), বালাগঞ্জে ১২ জুন আতিকুর রহমান (২০), বানিয়াচংয়ে ২৬ জুন রাবেয়া খাতুন (৫৪), পরদিন শাল্লায় হাবিবুর রহমান (৫৪) ও  হেলাল মিয়া (২৫), একই দিন দক্ষিণ সুরমায় দুলু মিয়া (৪৮), জুড়ীতে আব্দুল হামিদ কালা এবং ২৭ জুন  ফেঞ্চুগঞ্জে লিটন মিয়াকে (৩০) হত্যা করা হয়।

জুলাই: চুনারুঘাটে ৯ জুলাই জ্যোৎস্না আক্তার (২২), শান্তিগঞ্জে বাবুল মিয়া (৫৮), নুরুল ইসলাম (৪২), শাহজাহান (৩৬) ও মুখলেসুর রহমান (৬০), বিয়ানীবাজারে ১২ জুলাই ফাহমিদা আক্তার (২৪), মাধবপুরে ১৮ জুলাই বাবুল মিয়া (৪০), জৈন্তাপুরে ২০ জুলাই রুবেল হোসেন (৩০), নগরীর মেজরটিলায় ২১ জুলাই সিমলা রাণী নাথ (২১), শান্তিগঞ্জে ২২ জুলাই সাজনা বেগম (১৬), আজমিরীগঞ্জে ২৩ জুলাই সেলিম মিয়া (৩০) ও কুলাউড়ায় রুবেল আহমদকে হত্যা করা হয়। আর ২৫ জুলাই জগন্নাথপুরে উদ্ধার হয় অজ্ঞাত যুবক এবং কুলাউড়ায় অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন শ্রীমঙ্গলে খুন হন শান্ত দেবনাথ (১৯)। গোয়াইনঘাটে ২৮ জুন সালেহ আহমদ (২৫) ও লাক্কাতুরায় ৩১ জুন আতাউর রহমান (৩৮) খুন হন।

আগস্ট: দিরাইয়ে ২ আগস্ট আবুল হোসেন (৩০) পরদিন জকিগঞ্জে তামান্না আক্তার তানিয়া (১৫), কোম্পানীগঞ্জে ৩ আগস্ট ছালেখা  বেগম (৫২) ও একই দিনে গোয়াইনঘাটে আয়শা সিদ্দিকা জুলি (৩০), চুনারুঘাটে ৮ আগস্ট শাপলা আক্তার (৩০),বালাগঞ্জে ৯ আগস্ট সোহেল মিয়া (৩০), রাজনগরে ১৬ আগস্ট আবির  হোসেন জয় (১২), ছাতকে ১৮ আগস্ট ইছকন আলী (৬০), কানাইঘাটে ২২ আগস্ট কামিল আহমদ (৩৫), গোয়াইনঘাটে ২৪ আগস্ট রিপা বেগম (২৩) ও একই দিন শ্রীমঙ্গলে শরীফুল ইসলাম (৪০) ও চুনারুঘাটে ২৬ আগস্ট খুন হন আকলিমা বেগম (৩৫)।

আরও পড়ুন>> নির্বাচন নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন

সেপ্টেম্বর: ছাতকে ২ সেপ্টেম্বর মাসুম মিয়া (৩৭) ও একই উপজেলায় ৫ সেপ্টেম্বর সাদির আহমদ (৩০), বড়লেখায় ১০ সেপ্টেম্বর রিয়াজ উদ্দিনকে খুন (২৫) ও শান্তিগঞ্জে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার হয়। জগন্নাথপুরে ১১ সেপ্টেম্বও রেজাউল কবির (৩৫), দিরাইয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর ইমরান আহমদ (১২) ও বড়লেখায় ওইদিন বাবুল চাষা (৫৫), দক্ষিণ সুরমায় ১৬ সেপ্টেম্বর সাদির আহমদ (২৮) ও মাধবপুরে একই দিনে সঞ্চিতা সাওতাল খুন হন।

ছাতকে ২১ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ। জকিগঞ্জে ২২ সেপ্টেম্বর আবুল হোসেন লিচু (৪০), সিলেট নগরে ২৫ সেপ্টেম্বর আদিল আহমদ (২৯) ও একই দিনে সিলেট নগরীতে জেসমিন আক্তার (২২) খুন হন। জকিগঞ্জে ২৯ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ।

অক্টোবর: কুলাউড়ায় ৪ অক্টোবর  ফেরদাউস (১৪), ছাতকে ৭ অক্টোবর ইভা বেগম (৯), গোলাপগঞ্জে ২০ অক্টোবর তাজেল আহমদ (১৭) ও দিরাইয়ে ২৫ অক্টোবর খুন হন দুলাল মিয়া (৪৫)।

নভেম্বর: শ্রীমঙ্গলে ৩ নভেম্বর দিলীপ দেব, গোয়াইনঘাটে ৭ নভেম্বর নাজিম উদ্দিন (২০) একই দিন মৌলভীবাজারে  রেজাউল করিম নাঈম (২১), জকিগঞ্জে ১৯ নভেম্বর আব্দুল হামিদ (৩১), সিলেট নগরীতে ২১ নভেম্বর আরিফ আহমদ (১৯) ও সীতেশ চন্দ্র গোপ এবং জৈন্তাপুরে ২৫ নভেম্বর হাফিজ মাওলানা আব্দুস শুকুরকে (৪৩) হত্যা করা হয়।

ডিসেম্বর: কোম্পানীগঞ্জে ৩ ডিসেম্বর আব্দুল্লাহ (৫০), দক্ষিণ সুরমায় ৫ ডিসেম্বর শায়েদুল হক চৌধুরী (৪৮), শ্রীমঙ্গলে ৬ ডিসেম্বর ইন্তাজ আলী মীর (৫২), দিরাইয়ে ৯ ডিসেম্বর সুজিত বর্মন (৩০), সিলেট নগরীতে ১২ ডিসেম্বর রনজিত দাস (৫৮), নবীগঞ্জে ১৯ ডিসেম্বর শৈলেশ বর্মণ (৭০) ও একই দিনে বিশম্ভরপুরে খুন হন নাজিরা আক্তার (২৭) আর শান্তিগঞ্জে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত যুবকের লাশ। শান্তিগঞ্জে ২১ ডিসেম্বর জুনু মিয়া (৩২), বিশ্বনাথে ২৩ ডিসেম্বর আমিন মিয়া সিয়াম (১৬), বাহুবলে ২৬ ডিসেম্বর অজ্ঞাত নারীকে আগুনে পুড়িয়ে এবং ২৯ ডিসেম্বও গোয়াইনঘাটে কাওছার আহমদকে (২৬) হত্যা করা হয়।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়