Apan Desh | আপন দেশ

ঘুমধুম সীমান্তের ৫ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে বুধবার

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১১:২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঘুমধুম সীমান্তের ৫ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে বুধবার

ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে টানা ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পাঁচ প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাময়িক বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার থেকে নিয়মিতভাবে ক্লাস চলবে।

এর আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে গত ২৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি ছুটি দেয়া হয়েছিল। পরের দিন ৩০ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খোলা ছিল। সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকাসমুহে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের বিস্ফোরণে একজন বাংলাদেশি নারীসহ দুইজন নিহত হন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বাইশপারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২৩ দিন পর বুধবার থেকে আবারো খোলা হচ্ছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে আগামী বুধবার থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন <> ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ হোসেন গ্রেফতার

এদিকে স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি অনেক দিন শান্ত থাকার পর গত রোববার রাত ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শোনা গেছে। বিশেষ করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী, টেকনাফ সদর, হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং ইউনিয়নের সীমান্তে মাঝে মধ্যে গুলির শব্দ ভেসে আসে। তবে আতঙ্ক তেমন নেই।

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের সীমান্ত পরিস্থিতি আট থেকে ১০ দিন শান্ত ছিল। গত সোমবার গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।

একই পরিস্থিতি জানিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারী জানান, কয়েকদিন সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো ছিল। এখন মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে এপারে মাঝে মধ্যে গোলাগুলি ও বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনুপ্রবেশকালে তিন দফায় ৭৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় বুধবার থেকে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হচ্ছে।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়