Apan Desh | আপন দেশ

শান্ত সীমান্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৩:০৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শান্ত সীমান্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে

ফাইল ছবি

মিয়ানমারের জান্তার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ সীমান্ত। প্রতিদিন গুলি-মর্টারের শব্দে আতঙ্কে দিন কেটেছে সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশিদের। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল সীমান্তবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

তবে গত দুই রাত ধরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ বন্ধ আছে। এতে কিছুটা স্বস্তিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ২৭ গ্রামের মানুষ।

এদিকে দুই দিন ধরে রাখাইন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় নাইক্ষ্যংছড়িতে ২৩ দিন ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে খুলে দেয়া হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির বিপরীতে রাখাইন রাজ্যের তুমব্রু, ঢেঁকিবনিয়ায় দুই দিন ধরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ বন্ধ আছে। এপারে গোলাগুলির শব্দ আসছে না। তবে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে শত কিলোমিটার দূরে মংডুর পূর্ব দিকে রাচিডং-বুচিডং এলাকায়।

আরও পড়ুন <> সেতুটি নির্মাণের ২৫ বছরেও কাজে আসেনি

টানা এক মাস ধরে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্য এখন মোটামুটি শান্ত আছে। তবে রাজ্যের উত্তর ও পূর্ব–দক্ষিণ দিকে রাচিডং-বুচিডং এলাকায় আরাকান আর্মির হামলা, চৌকি দখলের ঘটনা ঘটলেও মধ্যভাগে (টেকনাফের বিপরীতে) রাখাইনের জেলা শহর মংডুসহ আশপাশের বিশাল এলাকা এখনো সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে। এসব এলাকা দখলে নিতে মরিয়া আরাকান আর্মি কিছুদিন ধরে হামলা চালাচ্ছে গভীর রাতে। সরকারি বাহিনীও রাত ও দিনে হেলিকপ্টারে করে আরকান আর্মির অবস্থানে গোলা ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে।

টেকনাফের হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, এখন যেখানে যুদ্ধ চলছে, তা শত কিলোমিটার দূরে। এ কারণে এপারে গোলাগুলির শব্দ আসছে না। নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের লোকজনের অনুপ্রবেশও বন্ধ আছে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানকার কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়