এস আলমের চিনি কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় দেশের বৃহত্তম শিল্পগ্রুপ এস আলমের চিনি কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তবে এখনো আগুন পুরোপুরি নির্বাপন হয়নি।

এর আগে বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার ওই চিনি কারখানার একটি গোডাউনে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করে। পাশাপাশি নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্ত্বক সহযোগিতা করেন। 

এস আলম গ্রুপ দাবি করে তাদের ছয়টির গুদামের একটিতে আগুন লাগে; যেখানে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। 

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাতাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়।’

আরও পড়ুন <> চট্টগ্রামে এস আলমের চিনি কারখানা জ্বলছে

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, রমজানের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি মজুত করা হয়েছিল। এই চিনি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিল। আগুনের পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে চিনি আর অবশিষ্ট নেই। ফলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেয়া সম্ভব হবে না।

এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, এস আলমের এ কারখানায় আমদানি করা কাঁচা চিনি পরিশোধন করা হয়। কারখানায় চার লাখ মেট্রিক টন ক্যাপাসিটি আছে। বিকেল ৪টার দিকে ইউনিট-ওয়ানের গুদামে আগুনের সূত্রপাত। সেখানে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল।

এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে দুটি প্ল্যান্টে পরিশোধন করা হয়। তার মধ্যে প্ল্যান্ট-১-এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯০০ টন আর প্ল্যান্ট-২-এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি এবং কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হয়।

এর আগে গত শুক্রবার নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে এস আলম গ্রুপের একটি হিমাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আপন দেশ/এমআর