Apan Desh | আপন দেশ

নির্বাচন এলেই বেসরকারি শিক্ষকরা জাতীয় করণণের দাবি তোলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১৯ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ২১:২২, ১৯ জুলাই ২০২৩

নির্বাচন এলেই বেসরকারি শিক্ষকরা জাতীয় করণণের দাবি তোলেন

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনের মৌসুম এলেই তারা (বেসরকারি শিক্ষকরা) এমন দাবি (জাতীয় করণ) তোলেন।

বুধবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আন্দোলনরত শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়। বৈশ্বিক যে আর্থিক অবস্থা, তা বিবেচনায় নিলে এত বড় আর্থিক দায় এখন কাঁধে নেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। ‘তবে আমরা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে দুটি কমিটি করব। সেই কমিটি দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণ সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। এর মধ্যে একটি কমিটি আর্থিক সম্ভাব্যতা এবং অন্যটি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা যাচাই করে দেখবে।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের বিরাট একটি অংশ তো আন্দোলনে নেই। আন্দোলন করছেন ছোট একটি অংশ। যারা আন্দোলনে নেই তারাও তাদের সহকর্মীদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন। আসলে যে কোনো আন্দোলন চলমান থাকলে একটা পর্যায়ে সেটি আর মূল আন্দোলনকারীদের হাতে থাকে না। সেখান থেকে নাশকতার আশঙ্কাও থাকে। আজকে যারা আন্দোলনে আছেন, তারা কি আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন? যদি না পারেন, তাহলে বলব- এমন পরিস্থিতির দিকে বিষয়টিকে নিয়ে যাবেন না, যা খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করে। তাই তাদের বলব- আপনারা ঢাকা থেকে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, ক্লাসে ফিরে যান।

>>> আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল

ডা. দীপু মনি বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে সরকারের বড় ধরনের আর্থিক সংশ্লি্টিতা রয়েছে। সরকার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের বেতন, প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের বই, বৃত্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ধরনের ল্যাবসহ নানা সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আয় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের তহবিলে থাকে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য যে বড় আর্থিক সক্ষমতা থাকা দরকার, তা বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে কোনো সরকারই পারবে না। তারপরও আমরা আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি বাদ দিয়ে এটি কতটা বাস্তবসম্মত এবং সহজে করা যায়, তা দেখব।

এদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ করা হবে না কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) নেতারা। এ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বিটিএ’র জেলা, মহানগর ও অঞ্চল কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা। বৈঠক শেষে তারা ব্রিফ করবেন।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়