Apan Desh | আপন দেশ

কৃষ্ণসাগর বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪২, ২০ জুলাই ২০২৩

কৃষ্ণসাগর বন্দরে রুশ হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর উপকূলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কিয়েভের কর্মকর্তারা। মঙ্গল (১৮ জুলাই) ও বুধবারের (১৯ জুলাই) হামলায় শস্যের অনেক গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা। ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি বলেছেন, হামলার পর ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে’ রফতানি পরিকাঠামো বন্ধ হয়ে গেছে।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রুশ অভিযান শুরুর পর ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এটির প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। কারণ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রফতানিকারক দেশ এই ইউক্রেন।

কয়েকদিনের মধ্যেই শস্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানির বিষয়ে গত বছর একটি চুক্তি হয়। সোমবার শেষ হয় চুক্তির মেয়াদ। রাশিয়া চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে রাজি হয়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শস্যচুক্তিকে ‘রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেন।

শস্যচুক্তি থেকে প্রত্যাহারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের বন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা শুরু করে রাশিয়া। চুক্তিতে থাকা তিনটি বন্দরের মধ্যে ওডেসা ও চোরনোমর্স্ক বন্দরে বুধবারও রাতভর হামলা হয়।  

ক্রিমিয়ার কার্চ প্রণালীতে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে কদিন আগে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। কার্চ সেতুটি ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের একমাত্র সংযোগ এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওডেসা বন্দরে হামলাকে ওই ঘটনার প্রতিশোধ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে ক্রেমলিন।

ওডেসায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শস্যে হামলা চালিয়ে বিশ্বকে খাদ্যের ঝুঁকিতে ফেলতে চাইছেন বলেন মন্তব্য করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক।

এদিকে চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর বুধবার এক বিবৃতি দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া ইউক্রেনের শস্য নিতে, কৃষ্ণসাগরে যদি কোনো জাহাজ প্রবেশ করে সেটির ওপর হামলা চালানো হবে। কারণ এসব জাহাজকে অস্ত্রবাহী হিসেবে ধরা হবে।

এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কৃষ্ণসাগর চুক্তি ছিন্ন এবং সামুদ্রিক মানবিক করিডোর বন্ধ হওয়ায়— ২০ জুলাই ২০২৩ রাত ১২টা থেকে, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের বন্দরের দিকে যাওয়া সব জাহাজকে অস্ত্রভর্তি কার্গোবাহী হিসেবে ধরা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাহাজে যেসব দেশের পতাকা পাওয়া যাবে; সেসব দেশকে ইউক্রেনের পক্ষে ও যুদ্ধে জড়িত হিসেবে ধরা হবে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কৃষ্ণসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার উত্তরপূর্ব এবং দক্ষিণপূর্বের কয়েকটি এলাকাকে জাহাজ চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়