বাংলাদেশিকে ধরতে এফবিআইয়ের পুরস্কার ঘোষণা

এক বাংলাদেশিকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ওই বাংলাদেশি হলেন রুহেল চৌধুরী (৩৪)। তার বিরুদ্ধে দুজনকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতেই গত ১ মার্চ এ পুরস্কার ঘোষণা করে।

ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কুইন্সের রাস্তা থেকে দুজনকে অপহরণ করা হয়। সেই অপহরণে রুহেল চৌধুরী জড়িত ছিল। এছাড়া এ ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও ছয়জন জড়িত রয়েছে। 

তাকে ধরতে একটি পোস্টার প্রকাশ করে এফবিআই। সেখানে রুহেল চৌধুরীকে বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কুইন্সের হলিস, কুইন্স ভিলেজ এবং জ্যামাইকা এলাকায় তার যাতায়াত রয়েছে বলেও জানানো হয়। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, ওজন ১৫০ পাউন্ড এবং চোখের রঙ বাদামি।

এফবিআইয়ের প্রকাশিত তথ্যে আরও বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী আবু চৌধুরী, তার স্ত্রী ২৪ বছর বয়সী ইফফাত লুবনাসহ আরও ছয়জন ষড়যন্ত্রকারীকে গত বছর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফেডারেল প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, গত বছরের ২৭ মার্চ জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউয়ের কাছে ১৮১তম সেন্ট থেকে অপহরণকারীরা প্রথম এক ব্যক্তিকে তুলে নেয়। রুহেল চৌধুরী ব্যবহৃত গাড়ির ব্যবসা করেন এবং তার সরবরাহ করা একটি হোন্ডা এসইউভিতে জোর করে ভুক্তভোগীকে তুলে নেন আবু চৌধুরী। পরে আবু চৌধুরী ভুক্তভোগীকে গাড়ির মধ্যে মারধর করেন। রুহেল চৌধুরী এ সময় নিজেই ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন>> মালয়েশিয়ায় প্রতারক কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

তারা আরও জানায়, অপহরণের পর ভুক্তভোগীকে একপর্যায়ে রাস্তায় নগ্ন হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়েছিল। এ সময় সন্দেহভাজন সৈয়দ রুবেল আহমেদ, শাহেদ আলম, আনজু খান এবং সুলতানা রাজিয়াকে সঙ্গে নিয়ে রুহেল চৌধুরী সারারাত ভুক্তভোগীকে মারধরের পাশাপাশি হুমকিও দেন। এছাড়া ভুক্তভোগীকে সেডেটিভের ডোজ দিয়ে পানি পান করায়। পর দিন হাসপাতালে ঘুম থেকে ওঠার আগ পর্যন্ত তাকে অজ্ঞান করে রাখে।

অপহরণের একপর্যায়ে আবু চৌধুরী ভুক্তভোগীর বাবাকে ফোন করে ২০ হাজার মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে। তদন্তকারীর অভিযোগ, ফোন কলের সময় আবু চৌধুরী টেলিফোনের মাধ্যমে তার চিৎকার যেন শোনা যায় তা নিশ্চিত করতে ভুক্তভোগীকে প্রচণ্ড মারধর করেন।

কেউ রুহেল চৌধুরীকে দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্থানীয় এফবিআই অফিস বা নিকটস্থ আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

আপন দেশ/এসএমএ