Apan Desh | আপন দেশ

গম চাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ২১ এপ্রিল ২০২৪

গম চাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন 

ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া

উপকূলের লবণাক্ত পতিত জমিতে গম উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে এসব জমিতে রিলে পদ্ধতিতে গম চাষ করা যাবে। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী। বরগুনার তালতলীতে গবেষণা চালিয়ে সফল হয়েছেন তিনি। এ পদ্ধতিতে গম উৎপাদনে লাভবান হতে শুরু করেছেন কৃষক।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বরগুনার উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ লাখ ৩৯ হাজার হেক্টর জমি শুস্ক মৌসুমে ৬ থেকে ৭ মাস পতিত থাকে। এ সময় বেকার থাকে এই এলাকার কৃষকরা।

পতিত জমিতে গম চাষের জন্য প্রায় ৬ বছর গবেষণা চালিয়ে সফল হয়েছেন ড. মৃন্ময় গুহ। সম্প্রতি বরগুনার তালতলীর শারিকখালী এলাকায় রিলে পদ্ধতিতে ২০ জন কৃষক ৭ একর জমিতে গম চাষ করেন। এ পদ্ধতিতে এক বিঘা পতিত জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ করে ১০ মণ গম পাওয়া যাচ্ছে। যার মূল্য ২০ হাজার টাকা।

একজন কৃষক বলেন, ‘৫–৭ দিন পরে দেখি যে গমটা সুন্দর হয়েছে। এরপর আমরা সার দিলাম। এর দুই থেকে চারদিন পর শীষ বের হয়। এর এক সপ্তাহ পর মেঘের মতো সোনার ফসল হয়ে উঠছে। তখন মনে খুব আনন্দ হয়েছে।’ 

ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে চাষ করলে খরচ অনেক কম। আমি বলব যে, পতিত জমিতে বিনা চাষে কৃষক একটা বাড়তি ফসল, ধানের পরে পেল।’ 

এ বিজ্ঞানীর দাবি, উপকূলের ৪ লাখ ৩৯ হাজার হেক্টর পতিত জমি আছে। রিলে পদ্ধতিতে গম চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে এসব জমিতে  ১৩ লাখ টন গম উৎপাদন সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘একদম পতিত জমিতে যে আমি প্রতি বিঘাতে ১০ মণ গম পাচ্ছি। এটা বিশাল একটা বিষয়।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, ‘জমিতে ধান যখন শেষ পর্যায়ের দিকে যায়, কাটার উপযোগী হওয়ার পূর্বে বা ২০–২৫ দিন আগে যদি আমরা এ গমটা ভেজা মাটিতে ফেলতে পারি, তাহলে ধান কাটার পরেই গমের গাছগুলো তৈরি হতে পারে।’ 

দেশে প্রতি বছর ৭৫ লাখ টন গমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় ১১ থেকে ১২ লাখ টন গম।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়