Apan Desh | আপন দেশ

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২২ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ০৯:৪৬, ২২ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ

ফাইল ছবি

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উৎযাপন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পৃথিবী বনাম প্লাস্টিক’। অর্থাৎ যেকোনো একটিকে আমাদের বেছে নিতে হবে।

দিবসটি উপলক্ষে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের দাবিতে মূকাভিনয় ‍ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এটি জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত একটি দিবস। সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে দিবসটি পালিত হয় এবং বর্তমানে আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক বিশ্বব্যাপি এ দিবসটি পালন করা হয়। বর্তমানে ১৯৩টি দেশে প্রতি বছর ধরিত্রী দিবস পালিত হয়।

বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্রমে ক্রমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন।

তিনি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির কাছে এই বিষয়টি আলাপ করার জন্য ওয়াশিংটন যান। এই বিষয়টি বেশ পছন্দ করেন কেনেডি।

আরও পড়ুন <> গম চাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন

১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টর একাদশ-রাষ্ট্র সংলাপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু এ নিয়ে ফলপ্রসু কোনো আলোচনা হয়নি। কিন্তু প্রচারণা অব্যাহত রাখেন নেলসন। যা পরবর্তীতে বহু মানুষকে সচেতন করে তোলে। অবশেষে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ‘ধরিত্রী দিবস’ পালনের দিন হিসাবে ২২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়।

পরের বছর ২২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়েছে। তখন এর নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারি ভাবে এই দিবস পালন করা হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে এই দিবস পালিত হয় বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে পালিত হয় শরৎকালে।

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাৎসরিক পঞ্জিকায় দিবসটিকে স্থান দেয় জাতিসংঘ। জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহকে তা পালনের জন্য উৎসাহ দেয়া হয়। এরপর দিবসটি ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ নামে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুসারে বাংলাদেশে প্রতি বছর নয় লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। আর এসব বর্জ্যের ৭০ শতাংশই ফেলা হয় রাস্তার ধারে, নদীর তীরে, উন্মুক্ত ভাগাড়ে কিংবা যত্রতত্র। কোথাও কোথাও আবার উন্মুক্ত স্থানে রেখে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তাই সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়