Apan Desh | আপন দেশ

সিরাজগঞ্জ কারাগার বন্দিতে ঠাঁসা, দিনে হাটাহাটি রাতে ইলিশ ফাইল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৪ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১১:৪২, ৪ নভেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জ কারাগার বন্দিতে ঠাঁসা, দিনে হাটাহাটি রাতে ইলিশ ফাইল

ফাইল ছবি

সিরাজগঞ্জ কারাগারে এখন ধারণ ক্ষমতার চেয়েও পাঁচগুণ বেশি বন্দি রয়েছে। জেলা কারাগারে ৩৫২ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও বন্দি আছেন ১৭৫৬ জন। দিনের বেলায় হাটাহাটি করে দিন পার করা গেলেও রাতে শোবার জায়গা সঙ্কট। ঠাসাঠাসি করে কিংবা ইলিশ ফাইলে রাত কাটাতে হচ্ছে।

তবু কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন বন্দিদ থাকতে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। তবে বন্দির সংখ্যা আরও ২৫০ এর বেশি হলে সমস্যা হবে-জানান জেলসুপার এ.এস.এম কামরুল হুদা

কারাগার সূত্রে জানা যায়,  সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে উপ-কারাগার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৮ সালে। ১৯৮৪ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে উপ-কারাগারটি রূপান্তরিত হয়জেলা কারাগারে।

ওই বছরেই শহরের কান্দাপাড়া এলাকায় ৬.৫০ একর জমির ওপর কারাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এখানে বন্দিদের জন্য ৭টি ভবন রয়েছে। জেলা কারাগারে ৩৫২ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও বন্দি আছেন ১৭৫৬ জন। যা ধারণক্ষমতার প্রায় পাঁচগুণ (৪.৯৮৮) বেশি।

কারা সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্ধারিত ওয়ার্ডগুলোতে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি বন্দি আছে। দিনের বেলায় বন্দিরা ওয়ার্ডের বাইরে ঘোরাফেরা করলেও বিকেল থেকে ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে হয়। অধিক বন্দি থাকায় ওয়ার্ডে শোবার পরিবেশ নেই। শীত মৌসুমে তেমন সমস্যা না হলেও গরমে এই সংকট তীব্র হয়ে ওঠে।

সিরাজগঞ্জ কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ইউনুস জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমানে এই কারাগারের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি আছে। তারা সবাই ওয়ারেন্টের প্রেক্ষিতে বা কোনো না কোনো মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে এসেছেন। 

খাবারেরকোনো সমস্যা নেই দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট জনবল রয়েছে। বন্দির সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হলেও সমস্যা হচ্ছে না। আরও কয়েকশ বন্দি আসলেও সমস্যা হবে না। এছাড়া, যেহেতু বন্দি হিসেব করে নিয়মানুযায়ী খাবার দেওয়া হয়, তাই বন্দিদের খাবারের কোনো সমস্যা নেই।

কারাগারের সুপার এ.এস.এম কামরুল হুদা বলেন, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫২ জনের হলেও সেই সময়ে যে ভবনগুলো করা হয়েছিল, সেখানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি থাকতে পারেন। বন্দি যেহেতু বেশি তাই স্বাভাবিকভাবেই বন্দিরা অতোটা আরামে থাকতে পারেন না। এখানে দেড় হাজারের মতো বন্দি প্রায়ই থাকে। ফলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে, বন্দি দুই হাজারের উপরে গেলে একটু সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়