Apan Desh | আপন দেশ

ব্যাংক ম্যানেজারকে ছাড়তে ২০ লাখ টাকা দাবি

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:১০, ৪ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৯:২৫, ৪ এপ্রিল ২০২৪

ব্যাংক ম্যানেজারকে ছাড়তে ২০ লাখ টাকা দাবি

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। নগদ দুই কোটি টাকা, নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ ও আনসার সদস্যের ১০টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মসজিদে তারাবিহ নামাজরত রুমা শাখা ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তবে তাকে ছাড়তে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে কেএনএফ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) অপহৃত নিজাম উদ্দিনের পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তার পরিবারের এক সদস্য জানান, গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী মাইছূরা ইসফাতের ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেছে।

পরে পরিবার বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিজামকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

পরিবার ও ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনও আশ্বস্ত করেছে যে, নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে তাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম (বান্দরবান) মো. ওসমান গণি মুক্তিপণ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, আমাদের সহকর্মী নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে সব ধরনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন খুবই তৎপর।

রুমা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিদারুল আলম বলেন, অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগের বিষয়টি আমরা শুনেছি। যেকোন মূল্যে তাকে উদ্ধারে প্রশাসন জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে রুমা এলাকার সব ব্যাংকে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রুমা সদরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ এবং আর্মড পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।

এদিকে ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাকে উদ্ধার করতে ও সন্ত্রাসীদের ধরতে রুমায় তল্লাশি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক শাখার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিন উপজেলায় আগের মতো ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হবে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে।

এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একইসঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়