Apan Desh | আপন দেশ

স্ত্রীর সম্পদ ২২ কোটি, স্বামীর সাড়ে ৫

এনবিআর কর্মকর্তা জিয়াউল দম্পতি দুদকের জালে

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ১৩ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৯:৫৮, ১৩ মার্চ ২০২৪

এনবিআর কর্মকর্তা জিয়াউল দম্পতি দুদকের জালে

ছবি: আপন দেশ

রাষ্ট্রে আয় বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ প্রতিষ্ঠানটির জালে আটকা পড়ে কর ফাঁকি দেয়া রাঘব বোয়ালরা। এ বোয়ালদের ধরতে সর্বশক্তি ব্যয় কর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। কিন্তু উচ্চ পর্যায়ের ‍দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় ছাড়া পায় কর ফাঁকিবাজরা। বদৌলতে ফাঁকিবাজদের সম্পদবনের মালিকানা পায় এনবিআরের ওইসব কর্মকর্তারা। দিন শেষে বিধি বাম।

দুদকের জালে ধরা পড়েছে এনবিআরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আ.জা.মু. জিয়াউল হক। সঙ্গে ফেঁসে গেছেন তার স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুসও। জিয়াউল হক শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, জালিয়াতি করেছে মুক্তিযোদ্ধা সনদও। এ বিষয়ে পৃথক অনুসন্ধানেরও অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।

কর আপিল ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন এ সদস্য ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করছে দুদক। বুধবার (১৩ মার্চ) কমিশন মামলা দু’টির অনুমোদন দিয়েছে। যেকোন মুহূর্তে এ মামলা হবে। 

এজাহারে রাজস্ব কর্মকর্তা আ.জা.মু. জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৫১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হচ্ছে। স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হচ্ছে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের। 

দুদকের উপ-পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা কন্যা সেলিনা আখতার বাদী হয়ে এ মামলা করছেন বলে জানা গেছে। 

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব কর্মকর্তা জিয়াউল হক ১৯৯১ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে যান। এ সময়ের মধ্যে তার আয়কর ফাইলে প্রদর্শিত আয়-ব্যয়ের হিসেব থেকে ৫ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ অতিরিক্ত পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন>> জয়েন্ট স্টকে হারুনের দুর্নীতি, ফাইলবন্দি একযুগ

দুদক অনুসন্ধানে মিলেছে, স্বামী জিয়াউল হকের চেয়ে স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুসের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ চার গুণ বেশি। আয়কর নথিতে মোর্শেদা কুদ্দুস রাজধানীর বড় মগবাজারের মৃত্যুপথযাত্রী ভাইয়ের কাছ থেকে ৫৩ শতাংশ আয়তনের প্লট হেবামূলে পেয়েছেন-মর্মে উল্লেখ করেন। কিন্তু দুদকে হেবামূলে সম্পদ প্রাপ্তির পরিষ্কার কোনো রেকর্ডপত্র দাখিল করতে পারেননি তিনি। 

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, জিয়াউল হক তার অবৈধ সম্পদ আড়াল করতে অসুস্থ স্ত্রীর ভাইয়ের নামে প্রথমে প্লটটির দলিল করেন। যারা সমুদয় টাকা পরিশোধ করেন জিয়াউল হক। পরে ভাইয়ের কাছ থেকে পৃথক দু’টি হেবা দলিল করে মোর্শেদা কুদ্দুসের নামে আনেন। যার দলিল মূল্যই ২২ কোটি ২০ হাজার টাকা। প্রকৃত মূল্য কয়েক গুণ বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলার যথাযথ তদন্ত হলে এটিও উদঘাটন করা সম্ভব বলে মতামত দেয়া হয়েছে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে।

দুর্নীতিবাজ জিয়াউল ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন পড়তে চোখ রাখুন আপন দেশ-এ।

আপন দেশ/এবি/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়