সাংবাদিকের বুম দিয়েই পেটাল সখিপুর আ.লীগ নেতা

সংবাদকর্মীর হাতে থাকা বুম কেড়ে নিয়ে সাংবাদিকেরই মাথা ফাটালেন আওয়ামী লীগ নেতা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা সড়কে মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের নিচতলার ঘটনা এটি। স্থানীয় লোকজন বুম রক্তাক্ত অবস্থায় সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হামলাকারী ওই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত সাংবাদিকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সখীপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্ত মনির উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও।

সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহীনুর রহমান বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বলেন, এ ঘটনায় বেলা তিনটার দিকে ওই সাংবাদিকের স্ত্রী রিতা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা মনিরকে থানায় ডেকে নেয়। তিনি থানায় আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সড়কের মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের নিচতলার একটি কক্ষের ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মনির উদ্দীনের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাংবাদিকের হাতে থাকা এশিয়ান টেলিভিশনের বুম কেড়ে নিয়ে সাংবাদিকের মাথায় আঘাত করে সটকে পড়েন ওই নেতা। স্থানীয় দোকানদারেরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আহত সাইফুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনার পর বেলা দুইটার দিকে উপজেলা প্রেসক্লাবের একটি জরুরি সভায় ২ ঘণ্টার মধ্যে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানান সাংবাদিকেরা।

এদিকে আহত সাংবাদিক সাইফুল ইসলামকে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী, ওসি শেখ শাহীনুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ওসমান গনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে তারা সাইফুলের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনির উদ্দিন মন্টু থানায় আটক হওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, ঘর ভাড়া প্রসঙ্গে আমাদের মধ্যে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিক আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। তার সঙ্গে থাকা বুম দিয়ে আমাকে আঘাত করেন। পরে আমি তার বুম কেড়ে নিয়ে পাল্টা আঘাত করি।

আপন দেশ/এবি