Apan Desh | আপন দেশ

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে ডেডলাইন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:২৭, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ১১:৩০, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে ডেডলাইন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে কোনো ডেডলাইন যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি স্পষ্ট করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে কোনো ডেডলাইন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সহিংসতামুক্ত এবং অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন দেখতে চাই যুক্তরাষ্ট্র। কোনো দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্ব নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র।

তিনি এও জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি তার বিষয়ে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়নি এবং এটি তাকে রাজনীতি থেকে সরানোর একটি চক্রান্ত। সে ক্ষেত্রে দেশের বাইরে তার চিকিৎসার সুযোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো আহ্বান জানাবে কিনা? 

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি বলতে চাই যে, আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা তার (বিচারের) ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করেছি। এর বেশি কিছু বলার নেই আমার। কারণ এটি পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া।’ 

আরও পড়ুন <> চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের মৃত্যু

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে আরও প্রশ্ন করা হয়, ২৮ অক্টোবরের (বিএনপির) মহাসমাবেশ সামনে রেখে সরকার প্রতিদিনই বিরোধীদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ ও ধরপাকড় চালাচ্ছে এবং তারা মহাসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে যেকোনো উপায়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এর বাইরে আপনি অনেকবার তাগিদ দিয়েছেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অনেকবার এই আহ্বান জানিয়েছেন যে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত ও বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? 

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমাদের মন্তব্য, যেমনটা আগেও বলেছি, আমরা বিশ্বাস করি যে আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হতে হবে। এর বাইরে আমাদের আর কোনো মন্তব্য নেই।’ 

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ম্যাথিউ মিলার জানান, বাংলাদেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশীদারদের সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় দেশটি।

সম্প্রতি দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন মার্কিন উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার। সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলেন তিনি। তার সফরের পর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জানায়, আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস সে সময় জানায়, এমন খবরের কোনো সত্যতা নেই। এবার ডেডলাইনের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়