দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ

দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। দেশে জনসংখ্যা বাড়ার হার কমছে। এ প্রবণতার মধ্যেই পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনশুমারির যাচাই পরবর্তী সমন্বিত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন বলছে, মোট জনসংখ্যার ৫০ দশমিক ৪৩ শতাংশ এখন নারী; আর পুরুষ ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।

সে হিসাবে দেশে নারীর সংখ্যা এখন আট কোটি  ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।  

রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বিবিএস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে বিবিএস। শুমারি শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেয়া হয়।

পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি সম্পন্নের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট এরর নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত বছরের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাই পিইসি জরিপ পরিচালনা করে।

সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনাকৃত ও পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।

দিলদার বলেন, বিশ্বে জনশুমারির তথ্য এভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই করা হয়। তবে এবার প্রাথমিক গণনা থেকে বাদ পড়ার সংখ্যা অন্যান্যবারের চেয়ে কম। অন্যান্যবার প্রায় পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত প্রাথমিক গণনায় বাদ পড়ে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে।

যাচাইকৃত সেই শুমারির তথ্য থেকে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার গ্রাম, শহর, বিভাগ, লিঙ্গ, ধর্ম ও বয়সভিত্তিক জনশুমারির প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিএস।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। অর্থাৎ শুমারির প্রাথমিক গণনার চেয়ে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৬ লাখ ৭০ হাজার।

সমন্বয়কৃত গণনা অনুযায়ী দেশে ২৯ বছরের কম বয়সী জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৫৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে প্রায় নয় কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার বয়স ২৯ বছরের কম।

প্রতিবেদনে বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার হিসাবে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী জনসংখ্যা এক কোটি ৬৮ লাখ বা নয় দশমিক ৯২ শতাংশ, চার বছরের কম বয়সী রয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার বা ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সী জনসংখ্যা এক কোটি ৫৮ লাখ বা নয় দশমিক ৩১ শতাংশ; ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী জনসংখ্যা এক কোটি ৫৫ লাখ বা নয় দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা এক কোটি ৪৭ লাখ বা আট দশমিক ৬৯ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ৩৫ বছরের কম বয়সীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশের কিছু বেশি বা ১০ কোটি ৮৭ লাখের কিছু বেশি।

আপন দেশ/আরএ