Apan Desh | আপন দেশ

আগের রাতেই পৌঁছেছেন ১০ জেলার নেতাকর্মীরা

খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ আজ

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: ০১:৫০, ১৭ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৫:২৯, ১৭ জুলাই ২০২৩

খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ আজ

ফাইল ছবি

খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ আজ। এই বিভাগের ১০ জেলার নেতারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। বড় ধরনের লোকসমাগম দেখাতে চায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমাবেশের দিন গণপরিবহন বন্ধ, পথে পথে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দিতে পারে এমন আশঙ্কা মাথায় রেখেই সমাবেশ সফল করতে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন কৌশল।

নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে দুপুর ১২টার সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। 

খুলনার নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ আগের দিন রাতের (রোববার রাত) মধ্যে খুলনা নগরীতে চলে এসেছে। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, ছাত্রাবাস ও আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে। 

তারা জানান, পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি সমাবেশে যেতে বাধা দেয় তাহলে তা প্রতিহত করার প্রস্তুতিও নিয়েছে নেতাকর্মীরা। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা আজ গণপরিবহন বন্ধ দিলে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আগেই।

আগেই পুলিশ নেতাকর্মীদের আটক করতে পারে, সে ব্যাপারে আগেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সমাবেশে মিছিল নিয়ে দলবেঁধে আসার নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। সড়ক পথের পাশাপাশি কাছাকাছি এলাকার নেতাকর্মীদেরকে নদীপথে আসার প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন <<>> ফের ক্ষমতায় আসতে মন্ত্রীর পিএস-এপিএসদের ডিসি বানাচ্ছে আ.লীগ

মহানগর যুবদলের সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর সাংবাদিকদের জানান, সোমবার (আজ) নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করা হবে। তারা সোনালী ব্যাংক চত্বর, হাদিস পার্ক অথবা শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশ করার জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। সিটি করপোরেশন সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। সমাবেশের বিষয়টি চিঠি দিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। প্রথমে জাসাসের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। মূল সমাবেশ শুরু হবে দুপুর ১২টায়। 

তিনি জানান, অন্যান্য স্থানের ‘তারুণ্যের সমাবেশের’ তুলনায় তারা বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। বিভাগের সব জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে আসবে। লক্ষাধিক নেতাকর্মী জমায়েত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তারা থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা করছেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য লিফলেট বিলি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন<<>> স্বজনদের খোঁজে বুড়িগঙ্গাতীরে মানুষের ভীড়, তিনমরদেহ উদ্ধার

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমাদের সমাবেশগুলোতে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হয়। গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পথে পথে আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। এ বিষয়গুলো মাথায় রয়েছে। দূর-দূরান্তের অনেক নেতাকর্মী সমাবেশের আগের দিন খুলনায় এসে অবস্থান করবে। এই সমাবেশকে আমরা ‘বাঁচা-মরার লড়াই’ হিসেবে দেখছি। তিনি জানান, নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত মাইক দেয়া হবে।

মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি জানান, ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ সফল করতে তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে নগরীর ৫ থানা ও ৮টি কলেজে প্রস্তুতি সভা করেছেন। বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করার জন্য লিফলেট বিলি করা হচ্ছে, নগরীতে মাইকিং করা হবে।

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলাল জানান, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা, লিফলেট বিতরণ, ফেস্টুন ও ব্যানার টানানো হয়েছে। গত ১২ ও ১৩ জুলাই প্রচার মিছিল করা হয়েছে। এটি তারুণ্যের সমাবেশ হলেও এই সমাবেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সব সংগঠনের নেতাকর্মীরাই আসবে।

এদিকে বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ যোগ দেবে দীর্ঘদিন ধরে কোনঠাসা খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি’র নেতৃত্বাধীন গ্রুপ। তাদেরকে বাদ দিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে অভিমানে দলে তারা নিষ্ক্রিয়।

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়