Apan Desh | আপন দেশ

তারেক-জোবায়দাকে ফরমায়েশি সাজা দেয়া হতে পারে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ১ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ১৮:১৮, ১ আগস্ট ২০২৩

তারেক-জোবায়দাকে ফরমায়েশি সাজা দেয়া হতে পারে: মির্জা ফখরুল

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজা দেয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

এসময় তিনি অতীতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে দাবি করে বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের মামলার সাজা চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহে আশঙ্কা করছি যে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকারি নীলনকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তোবা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এ মামলা চলার মতো কোনো আইনগত উপাদান নেই। কেননা তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সালে জমা দেওয়া হয়েছিল, তার পুরোপুরিভাবে আয়কর জমা দেওয়া হয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা এফডিআর। উক্ত এফডিআর মামলা দায়েরের আগেই (২০০৫-২০০৬) অর্থবছরের ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে চলমান এ মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সাক্ষী নিয়ে বুধবার (২ আগস্ট) রায় দেয়ার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশে লাখ লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের এ মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। রাত ৮-৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষী নেওয়া হয়েছে।

>>> আরও পড়ুন: আ. লীগ দেশকে পুরোপুরি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানিয়েছে: মির্জা ফখরুল

তিনি অভিযোগ করেন, আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচারকাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছেন। তাদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এতকিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করে। যদি অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শুধুমাত্র সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধীদলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সর্বক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন প্রত্যক্ষ করছি। এর আগে আমাদের দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ বছর ধরে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কর্তৃক নজীরবিহীনভাবে বাড়ানো হয়েছে।

সরকার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের মামলা দ্রুত শেষ করতে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। এরই মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহকে সাজাও দেওয়া হয়েছে।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়