Apan Desh | আপন দেশ

সূচক পতনের পেছনে ৭ কোম্পানির শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৩ মার্চ ২০২৪

সূচক পতনের পেছনে ৭ কোম্পানির শেয়ার

ফাইল ছবি

গত সপ্তাহে মোট কার্যদিবস ছিল চার দিন। দেশের শেয়ার বাজারে ব্যাংক খাতে দশমিক ৩, আর্থিক খাতে ১ দশমিক ৮ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

শেয়ার বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ৩১ শতাংশ কমে ৬ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক ৬০ শতাংশ কমে ২ হাজার ১২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে। 

শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১০ কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ২৩২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১১টির।

আরও পড়ুন>> বাজার মূলধন হারালো দেড় হাজার কোটি

গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা, পাওয়ার গ্রিড, আইএফআইসি, উত্তরা ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩ হাজার ৫০৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩ হাজার ৩৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৮৭৭ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৮৪২ কোটি ৫৩ টাকা। 

গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকায়, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৪ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ১৭ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১০ দশমিক ৪ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত।

আরও পড়ুন>> জিআইবি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভাবনা

আর খাদ্য খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নের দিক থেকে শীর্ষে ছিল কাগজ, ভ্রমণ ও সিমেন্ট খাত। এ তিন খাতে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৯, ১ দশমিক ৯ ও ১ দশমিক ৮ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে ছিল প্রযুক্তি ও জ্বালান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের। এ দুই খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৪ ও ২ শতাংশ।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ১৭ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৫ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১০ হাজার ৭৮৪ পয়েন্টে। 

সিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৭ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৮৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়