জয়পুরহাটে স্ট্রবেরি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে

বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষে সফলতা দেখিয়েছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর কালীপাড়া গ্রাম এলাকার কৃষকরা। প্রথম দিকে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সময়ের সঙ্গে দামও কমতে থাকে। বর্তমানে ছোট-বড় সাইজ অনুযায়ী পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এ এলাকায় চাষ হওয়া বিষমুক্ত স্ট্রবেরি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

জামালপুর কালীতলা গ্রামের কৃষক দিলিপ কুমারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভের আশায় প্রতি বছর স্ট্রবেরি চাষ করে থাকেন। এবারো আড়াই বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। স্ট্রবেরি জমি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ কেজি স্ট্রবেরি তুলে বাজারে বিক্রি করেন। এবার প্রায় সাত লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

জয়পুরহাটের স্ট্রবেরি জেলার বাইরে বিশেষ করে ঢাকাসহ ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। বিষমুক্তভাবে চাষ করা স্ট্রবেরি প্রথম দিকে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সময়ের সঙ্গে দামও কমতে থাকে। এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ছোট-বড় সাইজ অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসে জমি থেকে স্ট্রবেরি নিয়ে যান। দিলিপ কুমারের পাশাপাশি একই এলাকার কৃষক রেজাউল দুই বিঘা, সুজাউল তিন বিঘা, আব্দুর রহমান তিন বিঘা, পলাশ দুই বিঘা ও মিন্ট দুই বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বলে জানান।

কৃষি বিভাগের পাশাপাশি স্ট্রবেরি চাষে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. নূরুল আমিন। জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার জামালপুর এলাকা, আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকায়, পাঁচবিবি উপজেলার শিরট্টি ভারাহুত এলাকাতেও এবার বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। জয়পুরহাট জেলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর কারিগরি সহায়তায় এবার ১৪ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।

আপন দেশ/এমআর