Apan Desh | আপন দেশ

সিলেটে বাজারে ‘আগুন’, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

সিলেটে বাজারে ‘আগুন’, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

ছবি: আপন দেশ

পবিত্র রমজানের বাকি এক মাস। এর মধ্যেই সিলেটে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাড়ছে ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। এছাড়া চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নির্বাচনের পর চালের দাম কেজিপ্রতি ৬ টাকা বেড়েছিল। কিন্তু কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা কমেছে। তবে বেশিরভাগ দোকানে বিক্রি হচ্ছে আগের দামে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

গত বছর নিত্যপণ্যের দাম ছিল লাগাম ছাড়া। চলতি বছরের শুরুতেও একই অবস্থা। দিন যাচ্ছে বাড়ছে পণ্যের দাম। ক্রেতাদের মনে নতুন শঙ্কা। আসছে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য হতে পারে লাগামহীন। যদিও মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে নানামুখি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। 

সিলেটের পাইকারি কালিঘাট বাজার ঘুরে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মসুর ডালের দাম। ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা। দেশি বলে যে ডাল বিক্রি হচ্ছে, তার সর্বনিম্ন মূল্য কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা। বেড়েছে ছোলার দামও। এক মাস আগেও মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।

আরও পড়ুন>> সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

বিক্রেতারা জানান, বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহেই লিটার প্রতি ৩-৪ টাকা বেড়েছে। এরপর খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বাড়ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, পাম তেল ১৩০-১৩৫ টাকায়; গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশি।

এছাড়া প্রতি কেজি খোলা চিনি স্থানভেদে ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছ। যাবতকালের সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, খেজুর কেজিপ্রতি দাম ১০ টাকা বা তার বেশি বেড়েছে। আদা ও রসুন প্রতি কেজি ২১০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। এছাড়া ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি ১৯০, সোনালি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলেন, একেক পণ্যের দাম একেক অজুহাতে বেড়েছে। কিন্তু কোনো কিছুর দাম কমেনি।

সূত্র জানায়, রমজানকে ঘিরে সরকারি সংস্থাগুলো তিন মাস আগেই বাজার তদারকিতে নেমেছে। মোকাম থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে তদারকি করছেন।

ক্রেতারা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে অসাধু চক্র পুরোনো ছক কাজে লাগাচ্ছে। রমজান নির্ভর পণ্যের দাম আগেই বাড়িয়েছে। তাতে রোজায় নতুন করে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয় না। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ভোক্তার পকেট কেটে অতিরিক্ত মুনাফা করা যায়। 

আপন দেশ/একেআর/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়