Apan Desh | আপন দেশ

প্রেমের বানে ভেসে ইন্দোনেশিয়া থেকে লক্ষ্মীপুরে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:২৮, ১১ অক্টোবর ২০২২

প্রেমের বানে ভেসে ইন্দোনেশিয়া থেকে লক্ষ্মীপুরে

ছবি-সংগৃহীত

প্রেমিকার বাড়ী ইন্দোনেশিয়া। প্রেমিকের বাংলাদেশ। দুজনের কর্মস্থল মালয়েশিয়ায়। সেখানেই প্রেম। আর প্রেমের স্রোতে ভেসে ইন্দোনেশিয়া থেকে এসেছেন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরে। তবে এখনই প্রেম এখনই বিয়ে নয়। প্রেমের সম্পর্কটাও দীর্ঘ পাঁচ বছর। এরপর ছুটিতে এসে ধর্ম এবং আইন মেনে দুজন দুজনকে বেঁধেছেন মনের সুতায় ।

নতদম্পতির পারিবার জানায়, চাকরির সুবাদে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের যুবক মামুন হোসেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী সিতি রাহাইউর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ছুটিতে লক্ষ্মীপুরে এসে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
রোববার (৯ অক্টোবর) বিকালে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী জানান, তার মাধ্যমেই এফিডেভিট ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন সিতি ও মামুন।

জানা গেছে, শনিবার বিকালে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মামুন ও সিতিকা। পরে মামুন তাকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কেরোয়া গ্রামের সুনামগঞ্জ এলাকার কাজী বাড়িতে নিয়ে আসেন। রোববার লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন।

সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ের বাসিন্দা মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে। মামুন হোসেন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তারা মালয়েশিয়ার রাজধানীতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

সোমবার (১০ অক্টোবর) নবদম্পতির বাড়িতে ভীড় করে স্থানীয়রা। এ সময় মামুন জানায়, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়ায় সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের জন্য মালয়েশিয়া থেকে দুজনই এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ছুটি শেষে আবারও মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। তবে সিতি বাংলাদেশে থাকতে আগ্রহী।

মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ বলেন, মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সিতির সঙ্গে কথা হয়েছে। বাড়িতে এসে প্রথমদিনই খুব সহজে সবার সঙ্গে সিতির ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আপনজনের মতো সবাইকে গ্রহণ করেছে।

আদালত প্রাঙ্গণে সিতি রাহাইউ জানান, মামুনকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তাই তারা বিয়ে করেছেন। মামুনের পরিবারের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী বলেন, মামুন ও সিতি মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেখানেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার তারা দেশে আসেন। পরদিন তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এমন বিয়ের কনেকে দেখতে গ্রামের লোকজন ছাড়াও আশপাশের নারীপুরুষ ভীড় করে।

আপন দেশ ডটকম/ এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়