Apan Desh | আপন দেশ

ছেলের হাতে মারপিটের শিকার মা-বাবা, ১২ দিন ঘরছাড়া

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:১১, ৬ আগস্ট ২০২২

ছেলের হাতে মারপিটের শিকার মা-বাবা, ১২ দিন ঘরছাড়া

আব্দুল করিম ও রিনা আক্তার

সন্তানের হাতে মারধর খেয়ে ১২ দিন ধরে ঘরবাড়ি ছাড়া মা-বাবা। আছেন মৃত্যু আতঙ্কে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইউএনও এবং পুলিশের দারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ মা-বাবা । 

স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছেন। এ ঘটনাটি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার রাজনগর গ্রামের। নিপীড়িত বাবার নাম আব্দুল করিম (৭৫) মা রিনা আক্তার (৬০)। 

গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভুক্তভোগী মা-বাবা বাড়িতে গেলে মাদকাসক্ত ওই সন্তান তাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাদকাসক্ত ছেলে হামিদুলের (২৮) বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। 
তাতে বৃদ্ধ বাবা উল্লেখ করেন, প্রতিদিনই মাদকের জন্য বাবার কাছে টাকা চায় মাদকাসক্ত হামিদুল।  টাকা না দেয়ায় হামিদুল বাবা ও মাকে চড়-থাপ্পড় মারে। ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। 

বাবা আব্দুল করিম জানান, হামিদুল মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করে। সে মাদকাসক্ত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। তার মারধরসহ নির্যাতনের কারণে বৃদ্ধ স্ত্রী রিনা আক্তারকে (৬০) নিয়ে গত ১২ দিন ধরে নিজের বাড়িতে থাকতে পারছি না।

তিনি বলেন, নেশার টাকা না পেলেই সে আমাদের প্রচণ্ড মারধর করে। তার ভয়ে আমরা অন্যদের বাড়িতে বসবাস করে আসছি। বৃহস্পতিবার বাড়িতে গেলে টাকার জন্য আমাদের মারধর করে। চড়থাপ্পড় মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাই ইউএনও এবং ওসি স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি; যাতে হামিদুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন। 

মা রিনা আক্তার বলেন, আমাদের ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শফিকুল পঙ্গু। মেজো ছেলে রফিকুল অন্যের বাড়িতে কাজ করে তার সংসার চালায়। ছোট ছেলে হামিদুলের স্ত্রী-সন্তান আছে। কয়েক বছর ধরে হামিদুল মাদকাসক্ত হয়ে আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে অভিযোগ করেছি। 

রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান আকন্দ এ ব্যাপারে বলেন, আব্দুল করিমের অভিযোগ সত্য। হামিদুল নেশা করে। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। বাবা-মাকেও নির্যাতন করেন। 

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমনকে বিষয়টির ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম বলেন, বিষয়টি আমিও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

আপন দেশ ডটকম/ নূর/আবা
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়