Apan Desh | আপন দেশ

দুদকের ভেতরে ষড়যন্ত্রকারীরা আগেও ছিল, এখনও আছে

দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে: প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৭, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:২০, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে: প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে বাধা, তবে দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলেই দেশে বড় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে- এমন মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের জন্য মেগা প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি করা সম্ভব হয়নি।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রেসিডেন্ট বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকের ভেতরে ষড়যন্ত্রকারীরা আগেও ছিল, এখনও আছে। বিদেশি চক্রের বাইরেও পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল দুদকের ভেতর থেকেও। তারা সবাই মিলে পদ্মাসেতুর দুর্নীতির মামলা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্বাধীন কমিশনের স্বাধীন তদন্তের কারণে সেদিন রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে। শেষ পর্যন্ত অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাককে নাকে খত দিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে।

পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির বিষয়ে সে সময় বিশ্বব্যাংকের কোনো সমঝোতা প্রস্তাব বা বৈশ্বিক চাপের কাছে মাথানত করেনি দুদক। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পেরেছিল দুদক।

প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। দুদককে এ নিয়ে তদন্ত করতে চাপ প্রয়োগ করেছিল বিশ্বব্যাংক।

দুর্নীতিকে প্রান্তিক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি যথাযথভাবে কার্যকর করা গেলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আরও গতি পাবে।

দুদকের তরফ থেকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সম্মাননা প্রদান কররেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আসুন উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করি। বর্তমান বাস্তবতায় দুদকের সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এ কারণে দুদককে দুর্নীতি দমন ও নিয়ন্ত্রণে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় মামলা মোকাদ্দোমা না করে সার্ভিল্যান্স, ইনভেস্টিগেশন এবং মামলা পরিচালনা ও রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

দুদককে নিজস্ব আলাদা প্রসিকিউশন ইউনিট করার তাগিদ জানিয়ে তিনি বলেন, এটি হলে আদালতে দুদকে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, অভাবে নয় লোভের কারণে মানুষ দুর্নীতি করে। একসময়ে দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হতো। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না, এটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়