Apan Desh | আপন দেশ

ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুদকের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ২০ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৭:০৩, ২৭ জুলাই ২০২৩

ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুদকের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

ফাইল ছবি

ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন- সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সই করা আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ১২ জুলাই ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দুই কর্মকর্তাকে নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তাদের যশোর ও কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে দুদক প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়। বদলি করা ওই দুই কর্মকর্তাকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে অবমুক্ত হওয়ার নির্দশনা দেয়া হয়েছিল।

জানা যায়, দুদকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠার পর বিভাগীয় তদন্ত চলমান ছিল। সম্প্রতি দুদকের সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণের নামে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান তিনি। সেই অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে হক টেক্সটাইলসের মালিক শামসুল হকের কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর কয়েক দফায় ৭৬ হাজার টাকা নেন এ কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে পাবনা থেকে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

আরও পড়ুন: দুদকের ভুয়া ডিডি গ্রেফতার

অন্যদিকে, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

গত ৯ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বোন রুমাইয়া শিরিন দাবি করেন- তার ভাই আলমগীর হোসেন বগুড়া জেলা পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আলমগীরের বিরুদ্ধে এক নোটিশের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। এরপর তিনি সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের দায়িত্ব পান ডিএডি সুদীপ কুমার। এরপর তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ভয়ে তিনি পাঁচ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলেও এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বাদী হয়ে মামলা করেন দুদক কর্মকর্তা সুদীপ কুমার। এরপর নিজেই সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে আবার আগের টাকা দাবি করেন। সেই ঘুষ দাবির অডিও রেকর্ডসহ সুদীপ কুমারের বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

আপন দেশ/জেডআই
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়