Apan Desh | আপন দেশ

সোনালী ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৫:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সোনালী ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

গত দুই বছরেও সার্কুলারে দেয়া সুযোগ-সুবিধা পাননি সোনালী ব্যাংকের এজেন্টরা। এমনকি ব্যাংকের সার্ভারও ঠিকমতো কাজ করে না। বিধায় সেবা প্রদানে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এমতাবস্থায় আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে সমস্যার সমাধান চান তারা। নয়তো সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করবেন। এমন ঘোষণা দিয়েছে সোনালী এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন (সাবা)।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন সাবার সভাপতি যতীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক আমাদের নিয়োগের সময় যেসব সরঞ্জামাদি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল, তার কিছুই দেয়নি। এমনকি সব সময় ব্যাংকের সার্ভার ডাউন থাকে। সার্ভার ঠিকমতো কাজ না করায় আমাদের সেবা-প্রদানে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে গ্রাহক আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। 

‘এমন পরিস্থিতিতে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ কর্তাদের সঙ্গে বারবার কথা বলেছি। কিন্তু তারা এর সমাধান করেনি। তারা প্রতিবারই আশ্বাস দিয়েছে। এজন্য বাধ্য হয়ে আমাদের এখন আন্দোলনে নামতে হয়েছে।’

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব বাবু বলেন, তিন-চার মাসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সব ধরনের কার্যক্রমই পরিচালনা করেছে। এরপর আমাদের ১ হাজার ২০০ এজেন্ট থেকে ৪৭৮ জনকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কোনো নোটিশ ছাড়াই মাত্র ২২৭ জনকে রেখে বাকিদের বাদ দেয়া হয়। এরপর আমাদেরকে প্রধান কার্যালয়ে ডেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে।

আরও পড়ুন>> ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ার এনবিএলের পথে!

তিনি বলেন, ইংরেজিতে লেখা ওই চুক্তিপত্র আমাদেরকে পড়তে দেয়া হয়নি। জোর করে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে জানতে পারি, সার্কুলারে যেই কমিশনসহ সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ ছিল, চুক্তিপত্রে কৌশলে সেগুলো কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবুও আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু সার্ভার জটিলতা, দুই বছর শেষ হয়ে যাওয়ার পরও চুক্তি অনুযায়ী কমিশন সমন্বয় না করা, নানা কারণে আজকে আমরা পথে বসতে চলেছি।

সাবা সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নাহলে আমাদেরকে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে বাদ দিন। সেক্ষেত্রে গত দুই বছরে যেসব আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সেগুলো ফেরত দিতে হবে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামতুল্লাহ বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা হওয়ার আশায় সোনালী ব্যাংকের এজেন্ট হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সমন্বয়হীনতা, সার্ভার জটিলতা ও সরঞ্জাম বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। আমরা প্রতিজন এজেন্ট ইতোমধ্যে ১০-১৫ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। দিন যত যাচ্ছে ক্ষতির মাত্রাও বাড়ছে। সার্ভার সমস্যার কারণে আমরা মানুষের সেবা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি। এমন পরিস্থিতি আপনাদের সকল সমস্যার সমাধান চাই।

আপন দেশ/টি/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়