Apan Desh | আপন দেশ

পাকিস্তানের শাসনে শাহবাজ-জারদারি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১২:৫৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাকিস্তানের শাসনে শাহবাজ-জারদারি?

ফাইল ছবি

পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার গঠনে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনার পর মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দল দুটি একটি জোট সরকারের রূপরেখা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়।

৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনের কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকেই দেশটিতে সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি জানান, জাতির সর্বোত্তম স্বার্থে পিপিপি ও পিএমএল-এন আবার জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।

তিনি জানান, নতুন এ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন পিএমএল-এনের শাহবাজ শরিফ এবং তার বাবা আসিফ আলি জারদারি জোটের পক্ষ থেকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিলওয়ালের পাশেই বসে ছিলেন আলি জারিদারি ও শাহবাজ শরিফ।

পিএমএল-এনের নেতা, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোটভাই শাহবাজ জানান, পার্লামেন্টে তাদের দুই দলের সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে আর কয়েকটি ছোট দলও তাদের সমর্থন দেবে।

আরও পড়ুন <> গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

এবারের নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ৭৯টি আসন পাওয়া পিএমএল-এন বৃহত্তম দল হয়েছে আর ৫৪ আসন পাওয়া পিপিপি দ্বিতীয় স্থানে আছে। তাদের জোটে আরও চারটি ছোট দল যোগ দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

এই সব দল মিলিয়ে জোটটি পাকিস্তানের ২৬৪ আসনের জাতীয় পরিষদে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২৪ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট, উন্নয়নে শ্লথগিত ও রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতিতে ভূগছে। এর পাশাপাশি দেশটিতে জঙ্গি সহিংসতাও বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল প্রশাসন ও সরকার দরকার। কিন্তু নির্বাচনের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠনে দেরি হতে থাকায় উদ্বেগ দেখা দিচ্ছিল।

বিলাওয়াল ভুট্টো জানিয়েছেন, তাদের জোট যত দ্রুত সম্ভব সরকার গঠনের উদ্যোগ নেবে।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারি নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ওই দিনই দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়